ঘূর্ণিঝড় রেমালের একমাস পরেও চালু হয়নি শরণখোলার রায়েন্দা ফেরিঘাট। ফেরির অভাবে সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ট্রলারে বলেশ্বর নদী পারাপার হচ্ছে। ঝড়ের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে ফেরিঘাটের পন্টুন জেটি। বিধ্বস্ত হয়েছে সংযোগ সড়ক। ঘূর্ণিঝড় রেমালের জলোচ্ছ্বাসে শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার ফেরিঘাটের পন্টুন জেটি ভেসে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে সংযোগ সড়ক। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ নৌকাও ট্রলারযোগে ঝুঁকি নিয়ে বিশাল বলেশ্বর নদী পারাপার হচ্ছে। নদীর অপর পাড়ে রয়েছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বড়মাছুয়া ফেরিঘাট। রায়েন্দা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, রায়েন্দা ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ বরিশাল, পিরোজপুর, কুয়াকাটা, মঠবাড়িয়া, মোংলা, খুলনা, বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে কিন্তু এক মাসের বেশি সময় ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ফেরিঘাট বন্ধ হওয়ায় নারী ও শিশু যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বলেশ্বরের প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে নৌকা ট্রলারে করে নদী পারাপারে বাধ্য হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন রায়েন্দা ফেরিঘাটের পন্টুন জেটি ও সংযোগ সডক পুনঃনির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে ফেরিঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।