আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয়। এই পলিসি আমরা ফলো করি। ৬৮ বছর পর আমরা সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। ভালো সম্পর্ক আছে বলে আরেকটা সমুদ্রসীমা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গঙ্গা পানির চুক্তিও করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ-আলোচনা করে সব সমাধান করা যায়। আমরা কখনো খালি হাতে ফিরিনি। আগেও ফিরিনি, এখনো না।
গতকাল শনিবার দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৭ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এ ফলমেলার আয়োজন করা হয়েছে। সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া এই মেলা ১২ই জুলাই পর্যন্ত চলবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ফরেন ফলিসি হলো- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। বঙ্গবন্ধুর এই পলিসি শেখ হাসিনা ফলো করেন। ’৭১ এর পর থেকে ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতীয় সৈন্যরা তখন আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের জনগণ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। ওই দুঃসময়ের সাহায্য আমরা ভুলে যেতে পারি না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ’৭৫ এর পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরিতা রেখে ২১ বছর অন্যরা কী অর্জন করেছে? যারা বড় বড় কথা বলে, তারা দিল্লি থেকে এসে বলতো, আমরা গঙ্গা চুক্তির কথা ভুলেই গেছি। আমাদের উন্নয়নের জন্য যেখানে সুবিধা পাবো, আমরা সেটা কেন নেবো না? এখন কারো গায়ে চুলকায়, কারো অন্তরে জ্বালা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নিজেরা আইনগতভাবে না পেরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চায় বিএনপি। দলটি খালেদা জিয়াকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। বিএনপি এখন কোটা আন্দোলনের উপর ভর করবে। সরকার তো কোটা রাখেনি, এটা আদালতে মামলা চলছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনের ব্যাপার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বদলে গেছে। শুধু শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সময় লাগবে। কারণ সেখানে মূল সমস্যা হচ্ছে ভূমি। এর সমাধান এতো সহজ নয়। তবে শেখ হাসিনা থাকলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।