ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার খামার মুন্দিয়া গাজেম আলী মাদ্রাসার অফিস সহকারী হাসিবুল ইসলাম ৩ বছর অফিস না করে বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। তিনি উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর ছেলে। জানাগেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে হাসিবুল ইসলাম মাদ্রাসাটিতে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপরেটর হিসাবে যোগদান করেন। এরপর এমপিও ভুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি নিয়মিত অফিস করতেন। এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর অফিসে না এসে তিনি বেতন ভাতা উত্তোলন করতে থাকেন। হাসিবুল ইসলামের পিতা আলী হোসেন অপু রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি কর্মস্থলে না যেয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতেন বলে জানা যায়। সরজমিনে খামার মুন্দিয়া গাজেম আলী মাদ্রাসার নথি দেখে জানা যায়, গত ৩ বছর নিজ কর্মস্থলের হাজিরা খাতায় সাক্ষর করেননি হাসিব। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের কাউকে পরোয়াও করেন না তিনি। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী প্রতিষ্ঠানটির সুপারিনটেডেন্ট রবিউল ইসলাম অফিস সহকারি হাসিবুল ইসলামকে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারন দর্শানোর একটি নোটিশ প্রদান করেন। তিনি কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন জবাব দেননি ও প্রতিষ্ঠানে আসেননি বলে মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়। তাছাড়া মাদ্রাসাটির এই অফিস সহকারীর অনিয়মের যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যে প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এ ব্যাপারে খামার মুন্দিয়া গাজেম আলী মাদ্রাসার অফিস সহকারী হাসিবুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানের সুপারকে সালাম দিলেই তাকে টাকা দিতে হয়। তাছাড়া আমি ছাত্র রাজনীতি করি। এ কারনে খুব একটা মাদ্রাসায় যাওয়া হয়না। আপনি যেহেতু বললেন, দেখবানে ।খামার মুন্দিয়া গাজেম আলী মাদ্রাসার সুপারিনটেডেন্ট রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি প্রথম দিকে ৬ মাসমত অফিস করেছেন। এরপর আসা বন্ধ করে দেন। পরে তার পিতা ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুকে ব্যাপারটি আমি অবহিত করি। পরে সে ৩-৪ দিনমত আসার পর থেকে একেবারেই প্রতিষ্ঠানে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি অনেক চেষ্টা করেও তাকে প্রতিষ্ঠানে আনতে পারিনি। শেষে তাকে নোটিশ দিয়েছি ও তার বেতন বন্ধ রেখেছি।