ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল হাতে নিয়ে এক পুলিশের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অমরণ অনশনে বসেছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী(১৯)। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তিনি এ বাড়ি ছাড়বেন না। বিয়ে না হলে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। সোমবার (৮জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামের গনেষ বৈরাগীর বাড়িতে অবস্থান নেয়। এর আগে সকালের দিকে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তরুণীকে বাড়ীতে রেখে পুলিশ সদস্য সুব্রত বৈরাগী বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। প্রমিক পুলিশ সদস্য সুব্রত বৈরাগী ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামের গনেষ বৈরাগীর ছেলে। সে বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী থানায় কর্মরত আছে বলে জানাগেছে। অনশনরত তরুণী মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাট্রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুশমিতা। সে বর্তমানে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় একটি ভাড়াবাসায় পরিবারসহ থাকেন। ঐ তরুণী ঢাকার মোহাম্মদপুর লালমাটিয়া কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। অনশনরত ওই তরুণী সুশমিতা বলেন, আমি ঢাকার মোহাম্মদ পুর লালমাটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়া শোনা করি। গত দের বছর আগে আমার সাথে ছেলে সুব্রতর কলেজে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে শুরু হয় প্রেমের সর্ম্পক। আমি প্রথম দিকে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু আমাকে কলেজে গিয়ে মাঝে মধ্যে বিরক্ত করে। এই নিয়ে কলেজে তাকে আটকিয়ে ছিল। এরপর সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে আমি রাজি হয়। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সময় বিভিন্ন সময়? বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর কথা বলে সুব্রত আমার সাথে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। তবে আমি তাকে বার বার নিষেধ করার পরও সে আমার কথা মানে নাই। এতদিন পর্যন্ত ভাল ভাবেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার বিয়ের কথা বলে সুব্রত। কিন্তু এর পর থেকে সুব্রত আর আমার সাথে আর কোন যোগাযোগ করে না। পরে আমি নিরুউপায় হয়ে আজ সকালে ওদের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এরপর সুব্রতর মা- বাবা ও বোন আমাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়। কিন্তু সুব্রতর বাবা কয়েকদিন পরে বিয়ে দিবে বলে জানিয়ে দেয়। তরুণী সুশমিতা আরও বলেন, এখন যদি সুব্রত আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়ীতে আত্মহত্যা করবো। এলাকার লোকজন মীমাংসার জন্য এক জায়গায় বসবে বলে জানিয়েছে। তারা যদি সঠিক বিচার না করে, তাহলে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো। এই বিষয়ে স্থানীয় এলাকার লোকজন বলেন, তরুণী সুব্রতর সাথে প্রেমের সর্ম্পকের কথা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এই বিষয় নিয়ে পুলিশ সদস্যর বাবার সাথে কথা বলি। কিন্তু ছেলের বাবা সর্ম্পকের কথা মানতে নারাজ। তরুণী আমাদের কাছে ছেলের সাথে অন্তরঙ্গ কিছু ছবিও দেখান। তবে অনশনের ব্যাপারে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মেয়ের সাথে পুলিশ সদস্যর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক। এর আগেও আমার কাছে বিচার চেয়েছিল, আমি পুলিশ সদস্য সুব্রতকে হাজির হতে বলে ছিলাম কিন্তু সে হাজির হয়নি। তবে আমি চায় মেয়েটাকে বিয়ে করুক। এই বিষয়ে বাইশাকন্দা ইউনিয়নের বিট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফয়েজ বলেন, একটা মেয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন করতেছে আমি জানি না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।