রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জনসংখ্যা রাষ্ট্রের অন্যতম মূল উপাদান। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে। ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উদযাপিত হবে। রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে সরকার অষ্টম প বার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি-২০৩০ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের এসকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং পরিকল্পিত ও পরিমিত জনসংখ্যা নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতি ও কর্মকৌশল নির্ধারণে নির্ভরযোগ্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক তথ্য-উপাত্তের বিকল্প নেই। রাষ্ট্রপতি কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত কর্মক্ষেত্রে নিয়োগেও নির্ভুল জনসংখ্যাগত পরিসংখ্যান খুবই জরুরি উল্লেখ করে বলেন, একটি সুখী-সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে প্রাপ্ত উপাত্তের সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’, যা দেশের ও বিশ্বের আর্থসামাজিক অবস্থার নিরিখে অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সবার জন্য সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়তে সকলের সমান সুযোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তশক্তি ব্যবহার করে সকলের চাহিদা অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, মা-শিশু স্বাস্থ্য এবং কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা পৌঁছে দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল, ই-টুলকিট, সুখী পরিবার কলসেন্টার, ই-এমআইএস ইত্যাদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্তের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপতি একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর অবদান রাখার আহ্বান জানান। তিনি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।