সৃষ্টি সুখের উল্লাসে, মন হাসে তো প্রাণ হাসে। সেই সৃষ্টি যদি হয় শিক্ষার আলোর প্রদীপ জ¦ালানোর মত সেটা জাতি গঠনে ভূমিকা অপরিসীম। দেশের দক্ষিন জনপদ পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র উপকূলীয় গলাচিপা উপজেলার শিশুদের উন্নত শিক্ষা প্রসারতায় সিডর বিধ্বস্ত গলাচিপা উপজেলা কমপ্লেক্সে ২ জানুয়ারি/২০০৮ খ্রিঃ তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা দরদী, বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সচিব আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমইডি) স্থাপন করেন একটি (প্রাইভেট) প্রাথমিক বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুল॥ তিনি সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালী জেলার মাঝে গত ১১ জুলাই/২০২৪ তারিখ তিনি এবং তার সুযোগ্য সহধর্মীনি ও স্কুলের প্রথম অধ্যক্ষ সেলিনা মহিউদ্দিন ও একমাত্র সু-কন্যা নিহা সহ সফর সঙ্গীদের নিয়ে স্কুল পরিদর্শনে দীর্ঘ ১৭ বছর পরে পরিদর্শনের জন্য প্রবেশ করলে চার শতাধিক কোমল মতি স্মার্ট শিশু শিক্ষার্থীরা প্রবেশ গেট থেকে মূল ভবনের দু-পাশে শুভেচ্ছা সহ করতালী দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রথম অধ্যক্ষ সাহেবকে বরণ করে। যেমনি ভাবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সুধীজনদের উপস্থিতিতে এক মহা মিলন মেলায় পরিনত হয়। শিশুরা ফুলের পাপড়ী, স্কুল ড্রেস, জাতীয় পতাকা ও নানা রঙের সাঁঝ সজ্জায় উল্লাস দেখে মুগ্ধ হন তিনি। সচিব মহোদয় বর্তমান স্কুলের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল এবং তার সুযোগ্য সহধর্মীনি ও স্কুল অধ্যক্ষ ডাঃ জান্নাতুল নাঈম ইলভি সহ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়ানা মার্জিয়া নিতু। স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যবৃন্দরা একে একে পর্যায়ক্রমে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি স্কুল আঙ্গিনায় পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং পরে সংবর্ধনা সভা ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের সভাপতি ও সুদক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মাননীয় সচিব আবুল কাসেম মো. মহিউদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সেলিনা মহিউদ্দিন, স্কুল অধ্যক্ষ ডাঃ জান্নাতুল নাঈম ইলভি, স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও প্রেস ক্লাব সভাপতি মু. খালিদ হোসেন মিল্টন। পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান শিবলী। উপাধ্যক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম, শিশু শিক্ষার্থী মো. আবু সালেহ আল ফাওজান শুভেচ্ছা জানান। শিক্ষার উন্নয়নে ইতিপূর্বে সাতক্ষীরা কালেক্টরেট উচ্চ বিদ্যালয় সহ শিক্ষা ও আগামী প্রজন্মের জন্য যে দেশ প্রেমের নিদর্শন রেখে গেছেন। তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে ঐ সব জনপদে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ-তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুলটি শিক্ষা সংস্কৃতি ও উন্নত মানের পাঠদানে, উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলে চলেছে।