পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে আসবাবপত্র বসানোর কাজে ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ শাখা। সোমবার বিকেলে কলেজের বয়েজ হোস্টেলের নীচতলার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগর বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারের সাথে পটুয়াখালী জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কতিপয় অসাধু, অর্থলিপ্সু, শিক্ষার্থীদেরকে মানসিকভাবে হয়রানিকারী ও চাঁদাবাজ কিছু চিকিৎসক জড়িত। তারা কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বার্থ না দেখে ঠিকাদারদের স্বার্থ দেখেন। ঠিকাদারদের বাচাঁনোর চেষ্টা করেন, কেননা বিভিন্ন সময় তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। তারা নিজেরা চাঁদাবাজি করে ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপায়। ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জল ইতিহাসে আঘাত হানলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া তো দূরের কথা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ শাখা তা অত্যান্ত কঠার হস্তে দমন করবে। গনপূর্ত ই/এম কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুল ইসলাম কর্তৃক প্রদত্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যে কোনটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন না করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে কেন সংবাদ সম্মেলন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে মেডিকেল কলজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাদিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম বলেন, নি¤œমানের আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে সাধারন শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করায় এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে জবাব চাইলে সদুত্তর না পেয়ে প্রতিবাদ করা হয়েছে। তাই আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান শামিম সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগ তাদের নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকতে পারে। কলেজের নির্মান সংশ্লিষ্টদের তদারকির জন্য নির্দিষ্ট ব্যাক্তি রয়েছে। এটা স্বাচিপের কাজ না। উল্লেখ্য, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মহিলা ও পুরুষ হোস্টেলের আসবাবপত্র সেটিং ও ফিটিং কাজে বাধা দেয় কলজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাদিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইফাদুল ইসলাম। এ ঘটনায় গণপূর্ত কাঠের কারখানা বিভাগের নির্বাহী প্রকশলী মোঃ সাজদুল ইসলাম ৯ জুলাই পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকর কাছ লিখিতভাব অভিযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. মনিরুল ইসলাম ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। যার আহবায়ক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তদন্ত কমিটি সোমবার অভিযুক্ত দুই ছাত্র নেতাকে ডাকলে তারা অসুস্থতার অযুহাতে তদন্ত কমিটির কাছ না গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।