হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে গত সপ্তাহে হত্যার পর তার নতুন রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে হামাস মঙ্গলবার ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নাম ঘোষণা করেছে।
তেহরানে হানিয়াহকে হত্যার ঘটনায় ইরানের প্রতিশোধের অপেক্ষার মধ্যে এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
ইরান হানিয়ার মৃত্যুর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে এবং তার প্রতিশোধ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে হামাসের লেবানিজ মিত্র হিজবুল্লাহও কয়েক ঘণ্টা আগে বৈরুতে ইসরা ইলি হামলায় তার সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের নেতা ছিলেন। হানিয়াহ কাতারে থাকতেন। ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে সিনওয়ারকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, সিনওয়ারের নির্বাচন একটি বার্তা দিয়েছে যে হামাস ‘প্রতিরোধের লড়াই চালিয়ে যাবে।’
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালনাকারী প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জিব্রিল রাজউব বলেছেন, সিদ্ধান্তটি ‘যৌক্তিক ও প্রত্যাশিত’।
হিজবুল্লাহ সিনওয়ারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে, নিয়োগটি নিশ্চিত করেছে যে হামাস নেতা ও কর্মকর্তাদের হত্যা করে‘শত্রুতার উদ্দেশ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে’।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, সিনওয়ারের নিয়োগ ‘তাকে দ্রত নির্মূল করা ও এ জঘন্য সংগঠনটিকে পৃথিবীর মুখ থেকে মুছে ফেলার আরেকটি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।’
বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হতে হানিয়ার চেয়ে সিনওয়ার বেশি অনিচ্ছুক।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, যুদ্ধবিরতি অর্জনে সহায়তা করা সিনওয়ারের ওপর নির্ভর করে। কারণ তিনি ‘প্রাথমিক সিদ্ধান্তকারী ছিলেন ও রয়ে গেছেন’।
এদিকে, শুকরের মৃত্যুর এক সপ্তাহ উপলক্ষে একটি টেলিভিশন ভাষণে, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, তার গ্রুপ এবং তেহরান হানিয়াহ এবং শুকরের হত্যার জবাব দিতে ‘প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য’।
নাসরুল্লাহ বলেছেন, হিজবুল্লাহ এই অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত গ্রুপগুলোর ‘একা বা সমস্ত অক্ষ থেকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে’ প্রতিশোধ নেবে, ‘পরিণাম যাই হোক না কেন’। সূত্র : বাসস