বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন ও নোবেলজীয় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবগঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে এই সরকারের আমলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন।
‘বাংলাদেশকে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে মুহাম্মদ ইউনূসের মহান সাফল্য কামনা করছি। আমি সামনের দিনগুলিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করতে তার সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ‘ভারত-সমর্থিত সরকারের’ অধীনে ছিল। ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সেই সরকারের পতন ঘটেছ। ‘এখন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন যে সরকার গঠিত হয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশা, অতীতের যাবতীয় তিক্ততা ভুলে নতুন সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে।’
২০০৯ সালের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হতে থাকে বাংলাদেশের। পরে ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ঘিরে সেই শীতলতা রীতিমতো তিক্ততায় ভরে ওঠে। বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনি¤œ পর্যায়ে রয়েছে।
ছাত্র–জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকেলেই জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশ পরিচালনায় অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শান্তিতে নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের নতুন অন্তর্র্বতী সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ এই সরকারে আছেন ১৭ জন। সূত্র: জিও টিভি