কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইমনের জানাজা টাঙ্গাইলে নিজ গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। গত রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলীনের নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইমনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমনের ছোট ভাই হাফেজ সুমন জানাজায় ইমামতি করেন। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গোপালপুর উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. কায়সারুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন, ভুঞাপুর উপজেলার বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলুসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা-উপজেলার সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, নিহত ইমন অর্জুনা ইউনিয়নের ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তার পরিবারের দায়িত্ব বিএনপি নেবে। ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইমনের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যথাসময়ে আমাদের দেশনায়ক ও দলের কান্ডারি দেশে ফিরবেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিকেলে টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন কলেজ ছাত্র ইমন। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট সকালে তার মৃত্যু হয়। মনিরুজ্জামান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাশ করে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। পরে নিজের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে টাঙ্গাইলের এক চাচার বাসায় থেকে টিউশনি করতেন।
পরিবারের দায়িত্ব নিলো তারেক জিয়া: জানাজা শেষে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ইমন অজূর্না ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিল। সে শহীদ হয়েছে। তার পরিবারের দায়িত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের ও তার পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন তিনি। যথা সময়ে আমাদের দেশনায়ক দলের কান্ডারি দেশে ফিরবেন। এর আগে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর বিকালে টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র ইমন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ আগস্ট মৃত্যু হয়। নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার নলীন নইমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ভূঞাপুরের অলোয়া মনিরুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হন। পরে নিজের পড়াশোনার খরচ ও সংসারের হাল ধরতে টাঙ্গাইলের এক চাচার বাসায় থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে টিউশনি করতেন।