অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল ২২ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ১-এর বিচারক আবুল কাশেম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার আগে খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস দেন আদালত। খন্দকার মোশাররফের আইনজীবী তাদেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন। পরে একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করে আইন পরিপন্থী কাজ করেছেন।
খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২.৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা।