পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ২৩ আগস্ট দুপুর ১২টায় উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক আয়কর আইনজীবি সমিতির মহাসচিব এ্যাড: মিজানুর রহমান দুলাল, জেলা বিএনপি নেতা শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম ফরাজি সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মী এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের নিয়মিত সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পৃথক পৃথক বক্তৃতায় বলেন, আওয়ামী দু:শাসনের সময় যে সকল পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপরে অবৈধ ভাবে আওয়ামী নেতাদের খুশি করতে নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক ও তত্ববধায়ক সরকারের স্বররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, বিগত আওয়ামী দু:শাসনের সময় আমরা যে সকল নেতা-কর্মী অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তাদের মিথ্যা মামলা-হামলায় ঘর ছারা, বাড়ী ছারা হয়েছি, কেউ কারো খোঁজ নিতে পর্যন্ত পারি নাই। এমনকি কারো স্বজন মৃত্যুবরণ করায়ও জানাযায় উপস্থিত হয়ে শান্তনা দেওয়ার সুযোগটুকু পাই নাই। বক্তব্যের এক পর্যায়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন, নাজিরপুর থানার সাবেক ওসি হুমায়ুন কবির ও তার একান্ত বাণিজ্যিক এস আই মিজান আওয়ামীলীগের রাতের ভোটের এমপি ও তার ঘনিষ্ঠ স্বজনদের নির্দেশনায় প্রতিনিয়ত উপজেলার সকল বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ীতে গিয়ে গিয়ে অভিযান চালানের নামে বাড়ীর মহিলাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছে। এমনকি বিএনপি নেতাদের জমি দখলের ও বাণিজ্য করেছে। মনে হয়েছে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ওসি হুময়ুন কবির। আওয়ামী সন্ত্রাসীর উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুর করে নেতা-কর্মীদের আক্রম করে আহত করেছে। কিন্তু ওসি আমাদের মামলাতো গ্রহন করেই নাই উপরন্তু আমাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা বিষ্ফোরোক আইনে গায়েবী মামলা দিয়ে শতাধীক নেতা-কর্মীদের বাড়ী ছারা করেছে এবং অনেককে মামলার ভয় দেখিয়ে বাণিজ্য করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মহা পুলিশ পরিদর্শকের সু-দৃষ্টি কামনা করছি ঐ দূর্ণীতিবাজ ওসির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের। আজ দেশে স্বৈর শাসকের পতন হয়েছে, আমরা এখন পূর্বের ন্যয় স্বাধীন ভাবে দলীয় কার্যক্রম সু-সৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করতে পারছি। এ জন্য বৈশম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোনে অংশগ্রহনকারী ছাত্র ও সরকার পতনের আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ সাথে সাথে এই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সর্বোচ্চ শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করছি। আসন্ন শরদীয় দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে দেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে দলের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।