চট্টগ্রাম নিউমার্কেট মোড়ে স্বাধীনতা স্তম্ভের উপর জাতীয় পতাকার উপর গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে জাতীয় পতাকাকে অবমাননার ঘটনায় দুই যুবককে সদরঘাট হতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই যুবকের নাম হলো – রাজেশ চৌধুরী ( ১৮) ও হৃদয় দাশ (২৫) । চট্টগ্রামে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো: তারেক আজিজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিউমার্কেট মোড়ে জাতীয় পতাকার উপরে গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে অবমাননা করার
ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষন ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গেছে,গত শুক্রবার চট্টগ্রামের নিউমার্কেটের গোল চত্বরে একটি বাঁশ দিয়ে বাংলাদেশের পতাকার উপরে গেরুয়া পাতাকা লাগিয়ে দেয়া হয় । এরপর ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সামালোচনা হয়। জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)-এ বলা আছে, বাংলাদেশের পতাকার উপরে অন্য কোনো পতাকা বা রঙিন পতাকা উত্তোলন করা যাবে না। নিউমার্কেটের স্বাধীনতা স্তম্ভে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক শ্রীকৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) আলোচিত সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ভাবে দেশের সার্বোভৌমত্বকে অস্বীকার এবং দেশের অখ-তাকে অস্বীকার এবং দেশমাত্রিকার সার্বোভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এ মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে । মো. ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা সংযুক্ত আছে। মামলার আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পু-রীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।