ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়া, সময় মতো জমি তৈরী, ধানের চারা রোপন, সার প্রয়োগ, সঠিক পরিচর্যা এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের তদারকির কারনেই ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক। সদরপুরের সতের রশি গ্রামের কৃষক ওহাব বেপারীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ৪২ শতাংশের প্রতি বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষে সব মিলিয়ে কৃষকের খরচ হয় দশ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় ধান উৎপাদন হয় ১৮ থেকে ২০ মন। তবে চলতি মৌসুমে ফলন ২২ থেকে ২৩ মন উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি মন ১২০০ টাকা দরে ২৪০০০ হাজার টাকা। কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক আজিজুল মুন্সী বলেন ধান উৎপাদনে লাভ ভালোই। তবে অনেক কৃষকের কৃষি কার্ড না থাকার কারনে ন্যায্য মূল্যে সার বিজ কীটনাশক ক্রয়ে ব্যার্থ হন। এতে করে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেকে ধান চাষে আগ্রহ হারান। আটরশি এলাকার কৃষক সাহেদ আলী জানান, বর্তমানে দিন মুজুরের মূল্য বৃদ্ধি এবং সার ও কীটনাশক ক্রয়ে বিড়ম্বনার কারনে উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে। এ ছাড়াও স্থানীয় হাট বাজার গুলোতে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট থাকার কারনে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ধান উৎপাদনকারী কৃষকরা। সদরপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সদরপুর উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩০৬ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে মোট ৬২৯১ হেক্টর জমিতে। সদরপুর উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৫ টি ইউনিয়ন পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে বেষ্ঠিত। প্রতি বছর কম বেশি পলি মাটির স্থর পরার কারণে ধান, পাট, চিনেবাদাম ও সকল প্রকার রবী শষ্য উৎপাদন হয়। তবে সকল কৃষকদের কৃষি কার্ডের আওতায় আনা এবং বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বন্ধ করলে কৃষক ফসল উৎপাদনে আরো বেশি আগ্রহো হবেন এমনটাই আশা করেন সদরপুর উপজেলার কৃষকরা।