বাংলাদেশ দলে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্বের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি মাসে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে তিনিই দলের নেতৃত্ব দেবেন কিনা, এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। তবে বিসিবি প্রধান জানালেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নতুন বছরে। মিরপুরে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বিসিবির ১৬তম সভা। সভায় সাংবাদিকদের শান্তর নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নে বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ বলেন, ‘এটা (শান্তর অধিনায়কত্ব) আসলে এই মুহূর্তে… মাত্রই একটা সিরিজ শেষ হলো। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আমাদের আর কোনো খেলা নেই। ছেলেরা বিপিএল খেলবে। আমাদের হাতে সময় আছে। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা সময়মতো আলাপ করে নেব।’ পরে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ডিসেম্বরের পর (শান্তর অধিনায়কত্বের) সিদ্ধান্ত নেব।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে টাইগার দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসবে ঘোষণা করা হয় শান্তকে। কুঁচকির চোটে সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে
ছিটকে পড়েন অধিনায়ক। তার অনুপস্থিতিতে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব দেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব পরে উইকেটকিপার-ব্যাটার লিটন কুমার দাসের ওপর। লিটনের অসাধারণ নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায় লাল-সবুজের ছেলেরা। ব্যাট হাতে ব্যর্থ থাকলেও অধিনায়ক লিটনের পারদর্শিতায় মুগ্ধ সতীর্থ থেকে কোচিং স্টাফ সবাই। সিরিজ শেষে সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন, বিসিবি রাজি থাকলে দলের পূর্ণ মেয়াদের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত তিনি। গত অক্টোবর থেকে শান্তর তিন ফরম্যাটেই নেতৃত্ব ছাড়ার গুঞ্জনটা জোড়ালো হয়েছে। তখন জানা যায় ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়বেন তিনি। সে বিষয়ে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে শান্ত বলেছিলেন, ‘দেখা যাক কী ঘটে। আমি এখনও বিসিবি সভাপতির মতামতের অপেক্ষায় রয়েছি।’
চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর বাদ গেলেও সুস্থ হয়ে শান্ত ফিরেছেন ক্রিকেটে। জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন রাজশাহী বিভাগের হয়ে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেট বিভাগকে হারানোর দিনে নিজে খেলেন ৪৮ বলে ৭৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। তবে এর আগে টানা ৫ হারে বিদায় নিশ্চিত ছিল তার দলের। সিলেটকে ২৬ রানে হারিয়েও বিদায় নেয় টাইগার অধিনায়কের দল।