২৪ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম রুমে সকাল হতেই কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক ষাটোর্ধ্ব মানুষ এনজিও সংস্থা বুরো বাংলাদেশের কম্বল নিতে হাজির। ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে তখনও কুয়াশার চাদরে মোড়া। তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া হতদরিদ্র সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক পাবনা অঞ্চল এবিএম আলাউদ্দিন আহমেদ,দৈনিক খবরপত্রের উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মো: গোলাম রাব্বি, সাংবাদিক মোঃ সুজন আহমেদ সহ বুরো বাংলাদেশ ভাঙ্গুড়া এলাকার কর্মরত কর্মকর্তা বৃন্দ।এসময় ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র নি¤œ আয়ের মানুষ কম্বল পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। ভাঙ্গুড়া শরৎনগর বাজারের হতদরিদ্র ষাটোর্ধ্ব শিউলি খাতুন বলেন, এত শীত গেল কেউ আমাদের একবার খোঁজ নিল না। আজ আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে একটা কম্বল দিল। শীতের কষ্ট করতে ছিলাম। আজ থেকে একটু হলেও শান্তিতে রাতে ঘুমাতে পারবো। সত্তরোর্ধ্ব মোকসেদ বলেন, এতদিন শীতে কষ্ট পাইছি। এখন আমাকে বুরো বাংলাদেশ একটা কম্বল দিছে। এ বছর এই প্রথম কম্বল পেলাম। আমাকে আর শীতে কষ্ট করতে হবে না। ঠান্ডায় রাতে ঘুমোতে খুব কষ্ট হয়। এই কম্বল খানা পেয়ে এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারবো। বুরো বাংলাদেশের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক পাবনা অঞ্চল এবিএম আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঠান্ডা বাতাসের দাপটে ভাঙ্গুড়ার প্রত্যন্ত এলাকার এই হতদরিদ্র মানুষগুলো কে শীত জেঁকে ধরেছে। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করে নি¤œ আয়ের মানুষদেরকে। শীতার্ত অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বুরো বাংলাদেশ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাঙ্গুড়া এলাকার ব্যবস্থাপক আরিফ উদ্দিন মিয়া বলেন, আপনাদের কাছের মানুষ হতে চাই। এই জনপদে হতদরিদ্র মানুষদের নিয়ে কাজ করছি। আপনাদের বিপদে-অপাদে পাশে থাকতে চাই। প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: নাজমুন নাহার বলেন, এই মানুষদের পাশে আমরা দাঁড়াতে চাই। আজকে বুরো বাংলাদেশ এনজিও র এর মাধ্যমে কম্বল দিতে পেরে ভালো লাগছে।