স্বজনপ্রীতি ও পকেট কমিটি প্রত্যাখান শফীপন্থীদের
আমি আমির হতে অস্বিকার করেছি, সম্মেলনে মুরব্বিরাই দায়িত্ব দিয়ে সংগঠনের আমির বানাইয়া দিছে বলে হেফাজতে ইসলামের সম্মেলনে মতামতের ভিত্তিতে আমির নির্বাচিত হওয়ার পরে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জানিয়েছেন। তিনি গতকাল সম্মেলনের ১৫১ জনকে নিয়ে নব কমিটি গঠনের পর আমির হিসেবে প্রথম বক্তব্যে এ কথা বলেন। নিযুক্ত হওয়ার পর আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, আমি আমির হতে চাইনি অস্রুসিক্ত নয়নে বলেন সংগঠনে যারা সিনিয়র আছেন তারা আমাকে দায়িত্ব নিতে বলেছে। আমি আমার দায়িত্ব অবশ্যই নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করবো। তিনি আরও বলেন,ইসলাম বিরোধি যত অপশক্তি আছে তাদের নির্মুল করার জন্য, কাদিয়ানীদের নির্মুল করার জন্য,নাস্তিক মুরতাদদেরকে নির্মুল করার জন্য, যারা আমার কলিজার টুকরা নবী, নবী মোহাম্মদ স.কে নিয়ে কটুক্তি করে তাদের কবর রচনা করার জন্য, এসমস্ত ইসলামের পক্ষে কাজ করার জন্য প্রয়োজনে রক্ত দেয়ার জন্য যদি আপনাদেরকে ডাক দেয়া হয় এরকম আসবেন তো ইনশাআল্লাহ? হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির ইন্তেকালের পর হেফাজত আমিরের পদ শূণ্য হওয়ায় নতুন আমির নির্বাচনের জন্য এ সম্মেলন আহ্বান করা হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর প্রথমবারের মত আয়োজিত এই সম্মেলনকে ঘিরে সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনার পাশাপাশি ছিল নানা শংকাও। কিন্তু প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকায় সম্মেলনকে ঘিরে সকল সংকা কেটে গেছে। হেফাজতের প্রথম কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হেফাজতের সম্মেলন গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। গত কমিটির প্রায় ৬৫ জন সদস্য আজকের সম্মেলনে দাওয়াত পায়নি। তাই আমরা এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যাত করছি। আমরা বসে এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। তিনি আরো বলেন, বর্তমান যে কমিটি গঠিত হয়েছে তা পকেট কমিটি। তদন্ত করে কমিটির সকল সদস্যদের যাচাই করলে দেখবেন সব মামু ভাগনের আত্বীয় স্বজন। একটি কমিটিতে এক উপজেলার কতজন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছে সেটাও পরিস্কার হয়ে যাবে।সার্বজনীন একটি সংগঠনকে ক্ষমতার লোভে এ ভাবে ধ্বংস করে দেবে সেটা মেনে নেয়া যাবেনা। এমনকি একই পরিবারের ৩জন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।স্বজন প্রীতি ও পকেট কমিটিকে প্রত্যাখ্যাত করেছে শফী অনুসারীরা।