সাবেক ডেপুটি স্পিকার, ছয়বারের সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আগরতলা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কর্নেল (অবঃ) শওকত আলী গতকাল সোমবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি …রাজিউন) । মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক এ ডেপুটি স্পিকার ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ৮৪ বছর বয়সী, কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ নূর- ই-আলম চৌধুরী । গতকাল সোমবার পৃথক শোক বার্তায় তারা মরহুমের পরিবার-পরিজন, সন্তানসহ সবাইকে গভীর সমবেদনা জানান। গতকাল বাদ মাগরিব তাঁর নামাজে জানাজা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পূর্বে বিকাল ৩টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ জাতীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। আজ ১৭ নভেম্বর ২০২০ সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারে সকাল ১০ টায় তাঁর মরদেহ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ায় নেওয়া হবে। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা হয়েছিল, তাদেঁর মধ্যে শওকত আলীকে অন্যতম আসামি করা হয়। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির আজীন সদস্য ছিলেন কর্নেল শওকত। কয়েকটি অসাধারণ বইয়ের রচয়িতা তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সত্য মামলা আগরতলা’, ‘কারাগারের ডায়েরি’ এবং ‘গণপরিষদ থেকে নবম সংসদ’।