প্রতি মিনিটে আপনার আমার মতো কয়েক কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপ। অফিস কিংবা ব্যক্তিগত চ্যাট করছেন সারাক্ষণ। ছবি ভিডিওর পাশাপাশি জরুরি ফাইল আদান-প্রদান করছেন হোয়াটসঅ্যাপে। মেটার মেসেজিং অ্যাপটি বেশ গুরুত্ববহন করে ব্যবহারকারীর কাছে। আর এই গুরুত্ব বুঝেই মেটা প্ল্যাটফর্মটিকে ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছে প্রতিনিয়ত। এজন্য নতুন নতুন নিয়ম, ফিচার যুক্ত করছে সাইটটিতে। ফলে প্ল্যাটফর্মটি আরও বেশি নিরাপদ হয়ে উঠছে দিন দিন। তবে এসব নিয়ম না মানলে যে কোনো সময় আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ হতে পারে।
থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করলে
অনেক ব্যবহারকারী অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার পরিবর্তে থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করেন। এই পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপ ডেল্টা, জিবিওয়াটসঅ্যাপ এবং হোয়াটসঅ্যাপ প্লাসের মতো নাম সহ অনেক অ্যাপ পাওয়া যায়। কিন্তু কোম্পানি এই অ্যাপস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। আপনি যদি এই তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
অন্য কারো নামে অ্যাপ ব্যবহার করলে
আপনি যদি অন্য কারো নাম, প্রোফাইল ফটো এবং পরিচয় দিয়ে মেসেজ করেন তবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টও ব্যান হয়ে যেতে পারে। এটি হোয়াটসঅ্যাপের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়৷ আপনি যদি কোনো সেলিব্রিটি, ব্র্যান্ড বা সংস্থার ছদ্মবেশে অ্যাপ চালান, তবে আপনার অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ হতে পারে।
অপরিচিত কাউকে বারবার মেসেজ করলে
আপনি যদি সারাদিন এমন লোকেদের বার্তা পাঠান, যারা আপনার যোগাযোগের তালিকায় নেই, আপনার বার্তাগুলো স্প্যাম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে।
আপনার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে
যদি অনেক ব্যবহারকারী আপনার অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করে থাকেন, তাহলে কোম্পানি আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। কোম্পানি আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারে। আপনাকে রিপোর্ট করা ব্যক্তিটি আপনার পরিচিতি তালিকার অংশ কি না তা বিবেচ্য নয়।
কাউকে হুমকি দিলে
আপনি যদি কাউকে হয়রানি বা হুমকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মেসেজ পাঠান, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়াও ঘৃণ্য বা আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর জন্যও আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া