বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা

আলতাফুর রহমান আলতাফ লালমনিরহাট
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জাগবাহে তিস্তা বাচাঁই, এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ১৭,১৮ ফেব্রুয়ারী অবস্থান কার্মসূচি ঘোষণা করেছে লালমনিরহাটে জেলা বিএনপি। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ১৩০ কিলোমিটার চরাঞ্চলে প্রায় লক্ষাধিক পরিবারের বসবাস, আর এই তিস্তাকে ঘিরে চরাঞ্চল মানুষের জীবিকা নির্ভর করে। উজানে পানি প্রত্যাহারের কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীর মরণদশা হয়। শুস্ক মৌসুমে যেমন পানির অভাবে ব্যাহত চাষাবাদ,আর বর্ষায় মৌসুমে উজানের পানিতে নদীর তীরে বন্যা ও ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষেরা।তিস্তাপারের মানুষের দীর্ঘদিনের এ দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না। বিগত সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন এরপর চীনের রাষ্ট্রদূত তিস্তা এলাকা পরিদর্শন করেন এতে তিস্তাপারের মানুষ আশায় বুক বাঁধে। কিন্তু তিস্তা মহাপরিকল্পনা চীন করবে নাকি ভারত করবে, এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় তিস্তাপারের মানুষেরা হতাশ হয়েছেন।
াগামী ১৭/ ১৮ ফেব্রুয়ারী, জাগবাহে তিস্তা বাচাঁই এই স্লোগানে, তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্য বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী সংবাদ সম্মেলনে করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু। তিনি বলেন, আমাদের রংপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী তিস্তা নদী এ অঞ্চলে মানুষের এক সময় গোলা ভরা ধান ছিল, গোয়াল ভরা গরু, ছিল মুখে ভাওয়াইয়া গান। তিস্তা পাড়ের মানুষ এক সময় আনন্দের দিন কাটাতো। তিস্তা নদী ছিল আমাদের মায়ের মত, সেই তিস্তা নদী এখন শুকিয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। তিস্তা নদী এখন ধু ধু বালু চর। তিনি বলেন এর প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদী উজানে বাঁধ নির্মান করে পানি আটকে রাখে, আর বর্ষা মৌসুমে বিনা কারণে পানি ছেড়ে দেয় এরফলে বন্যার সৃষ্টি হয় লক্ষ্য লক্ষ্য পরিবারে বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যায়,বাড়ি ঘর নদী ভাঙনের কবলে পড়ে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ নিঃস্ব হয়ে বাড়িঘর ছাড়া হচ্ছে। তিস্তা এখন আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে নদী মানুষের জীবন জীবিকা একমাত্র ভরসা ছিল, ছিল মানুষের প্রাণ, সেই তিস্তা এখন আমাদের গলার কাঁটা। এই তিস্তার সুষ্ঠু পানি বন্টন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। কিন্তু বিগত সরকার তিস্তা পারের মানুষের সাথে শুধু প্রতারণাই করেনি পরিহাসও করেছে। আমরা মাঝে মাঝেই শুনি তিস্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে কিন্তু বাস্তবে সেটা কিছুই হয়নি। আমরা এটাও জানি আমাদের বন্ধু পার্শ্ববর্তী দেশ চিন এখানে অর্থায়ন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, একটি স্মারক ও স্বাক্ষরিতও হয়েছিল,কি কারণে সেটি আলোর মুখ দেখতে পাইনি জানি না। আমরা যতটুকু জানি সেই স্মারকের মেয়াদ ও উত্তীর্ণ হয়েগেছে। এ অঞ্চলের মানুষ আশায় বুক বেধেছিল মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তাদের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য আর জীবন জীবিকা ফিরে পাবে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মচাঞ্চল্যতা তৈরি হবে কিন্তু তার কোন কিছুই হয়নি। বর্তমানে তিস্তার দিকে তাকালে আমাদের সকলের বুক হাহাকার করে। এখন পর্যন্ত কোনো সরকারই তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি,তাই আমরা এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নদীর ন্যায্য পানি বন্টন, স্থায়ীবাদ নির্মাণের লক্ষ্য আমরা এই আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আর এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে তিস্তা তীরবর্তী পাঁচটি জেলার মানুষ। পাঁচটি জেলার মধ্যে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারী নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলে দুইদিনব্যাপী লাগাতার অবস্থা কর্মসূচি থাকবে। দুলু আরো বলেন, আমি আহবান করি লালমনিরহাটের ১৩০ কিলোমিটার নদীর তীরবর্তী চঞ্চলের সাধারণ মানুষ নিজ নিজ উদ্যোগে এই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করুক। আমাদের দাবি খুব পরিষ্কার ন্যায্য পানির হিসাব সেই হিসাব আমরা চাই, আমরা চাই তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তিস্তা নদী শাসন করা হোক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com