বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কার সংস্কার কথা বলে সংস্কারের কাজ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এটি কোন ষড়যন্ত্র কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। সংস্কার দীর্ঘায়িত হলে সমস্যা বাড়বে। আইনের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে হবে। দ্রুতগতিতে সংস্কার শেষ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে সোনাগাজী সাবের পাইলট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। তারেক রহমান বলেন, বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলো। বিএনপি জানতো স্বৈরাচার একদিন পতন হবে। এজন্য বিএনপি জাতির সামনে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিলো। বাংলাদেশের মানুষ রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা চায়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, নতুন করে কিছু মানুষ আমাদের ভেতরে ঢুকে বিভ্রান্ত করছে। এদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। জুলাই আন্দোলন প্রসঙ্গে তারেক বলেন, জুলাই-আগস্ট এর আন্দোলনে দুই হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ৩০ হাজার মানুষ আহত হয়েছে। প্রতিটি মানুষ প্রতিরোধ গড়েছিলো। পালিয়ে যাওয়ার আগে হাসিনা নির্বিচারে হত্যা করেছে। হত্যাকারী সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের
নেত্রী হাসিনার বিচার করতে হবে। আমরা বিচার করতে ঐক্যবদ্ধ।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত।