ইসলামী ভাবধারার তরুণ কবি ও গীতিকার আহমদ বাসির ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত বুধবার ১৮ নভেম্বও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ইন্তেকাল করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।
কবির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তিনি বেশ কিছুদিন যাবত হৃদরোগে ভুগছিলেন। গতকাল সন্ধার দিকে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পরলে তাকে মিরপুর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তরুণ এ কবির বাড়ি নোয়াখালির সোনাইমুড়ী উপজেলায়। আহমদ বাসির একাধারে কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক, কথাশিল্পী, উপস্থাপক ও সাংবাদিক ছিলেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য ছিলেন। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। ১৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দেওলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।
তরুণ কবি আহমদ বাসিরের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল ১৯ নভেম্বর এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, তরুণ কবি আহমদ বাসির ১৮ নভেম্বর রাত ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি ইন্তিকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সাংবাদিক, গবেষক ও বাচিকশিল্পী। তার কাব্য প্রতিভা ও লেখনি এ দেশের মানুষকে পথ দেখিয়েছে। আমি এই ক্ষণজন্মা প্রতিভার আকস্মিক ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি অরো বলেন, তরুণ কবি আহমদ বাসির (রাহিমাহুল্লাহ)-কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুণাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। তার জীবনের নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে স্থান দান করুন। শোকবাণীতে তার শোক-সন্তপ্ত স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাদেরকে এ শোকে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন।