নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাংগায় একটি মসজিদের জমি বেদখলমুক্ত করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর এলাকার সংশ্লিষ্ট মসজিদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় লোকজনের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য দেন ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩৯ মামলার পলাতক আসামী সন্ত্রাসী মো: দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলু বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট এই এলাকার জনগণ। তার সহযোগী আলামিন মিয়া নামের এক সন্ত্রাসী এই মসজিদ প্রাঙ্গণের জমিতে গত চার বছর ধরে অবৈধভাবে কিছু দোকান তৈরি করে তা থেকে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আদায় করতেন। এই টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মসজিদ প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা ওইসব দোকান বেদখলমুক্ত করেন মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় মুসল্লীরা। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আলামিন মিয়া গত ১০ নভেম্বর স্থানীয় ৮ ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, কথিত যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও চাঁদাবাজি। এই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ও স্থানীয় ব্যক্তিদের হয়রানি না করার দাবি জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সালাউদ্দিন ও কৌশিক আহমেদ নয়ন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ হোসেন সেলিম, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফজিলা আক্তার, আমেনা বেগম ও লাকী আক্তার এবং কাজিরচর বাইতুল আমান মসজিদ কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান প্রমুখ। ওই মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, পলাশের ডাংগা ইউনিয়নের কাজিরচর এলাকার মো. সামসুদ্দীনের ছেলে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সালাউদ্দিন(৪২), মো. এমারদ হোসেনের ছেলে মো. সুমন(২৮), আক্তারুজ্জামানের ছেলে মো. মাসুম(৩০), মো. হাসেমের ছেলে মো. মোস্তফা(৪৫), তাইজ উদ্দিনের ছেলে মো. নাজমুল(৩৮), ইসলাম মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া(৩৬), মোতালিব মিয়ার ছেলে উকিল মিয়া(৪০), আক্কাস আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়াসহ(৪৫) অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে। মসজিদ কমিটির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বলেন, দেলু বাহিনীর সহযোগী আলামিন মিয়া গত চার বছর ধরে এই মসজিদের জমি দখলে রেখেছিল। মসজিদের ওই জমি স্থানীয় মুসল্লীরা দখলমুক্ত করায় আমাদের ওপর এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাই এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও অযথা হয়রানি না করার দাবি জানাচ্ছি। ডাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাবের উল হাই বলেন, ওই মসজিদ প্রাঙ্গণে যুবলীগের কার্যালয় ভাঙচুরের কথা মামলায় বলা হয়েছে। প্রকৃত সত্য হল সেখানে যুবলীগের কোন কার্যালয়ই ছিল না। অন্যদিকে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত মামলার বাদী ও তার দলবলই। সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলা করে স্থানীয় মুসল্লীদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।