কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়া উত্তর নলবিলায় বসতি জায়গাকে কেন্দ্র করে বড়ুয়া সম্প্রদায়ীদের মধ্যে ঘটে যেতে পারা ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত কয়েক দফায় বাকবিত-তা ঘটেছে। আতংক রয়েছে এলাকাবাসী। জানা যায়, উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার বড়ুয়াপাড়ার বাসিন্দা তরুণ বড়ুয়া গং এর মালিকানাধীন ভিটি বাড়ীর সাথে সুমন বড়ুয়া গং এর বসতবাড়ী। উভয় বাড়ীর সীমানা প্রাচীর না থাকায় তরুণ বড়ুয়ার জায়গা সুমন বড়ুয়ার দখলে ছিল। কিন্তু সুমন বড়ুয়া ওই জায়গায় পাকা দালান নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দালান বাড়ী নির্মাণ করার পূর্বে উভয়ের বসতবাড়ীর জায়গা পরিমাপ করার জন্য তরুণ বড়ুয়া প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন। সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্তক্রমে বিরোধকৃত জায়গা পরিমাপে ১(এক) শতক বা তিন কড়া জায়গা সুমন বড়ুয়া হইতে প্রাপ্ত হয়। পক্ষান্তরে সুমন বড়ুয়া প্রভাবশালী ও ভিত্তিশালী বিধায় সালিশীকারে সিদ্ধান্ত প্রত্যখান করে কয়েক দিন ধরে তরুণ বড়ুয়ার প্রাপ্ত জায়গা দখল করে পাকা দালানের কাজ শুরু করেন। তাতে কোন উপায় না এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ২৩ নভেম্বর সোমবার মহেশখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অভিযোগ নং ৯১২। তা জেনে প্রতিপক্ষ সুমন বড়ুয়া গং ক্ষিপ্ত হয়ে আরো লোকজন নিয়ে ২৪ নভেম্বর ভোর থেকে সীমনা প্রাচীর কাজ শুরু করেন। তাতে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বাকবিতন্ডতা চলে। এক পর্যায়ে কালারমারছড়া ইউনিয়নের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) দুপুরে সুমন বড়ুয়ার পক্ষে গিয়ে দালান বাড়ী নির্মাণের নির্দেশ দেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবস্থা দেখে গ্রাম পুলিশরা নিরবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এই নিয়ে এলাকায় চলছে তীব্র উত্তেজনা। তরুণ বড়ুয়া জানান, তাদের নিজস্ব তিন কড়া জায়গার উপর বেআইনি ভাবে দেশের প্রচলিত আইনকে তোয়াক্কা না করে সুমন বড়ুয়া গায়ে জোরে পাকা দালান নির্মাণ করতেছে। যা এলকার সচেতন মহলও অবগত আছেন। এতে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও নিরুপায় হয়ে সুবিচারের প্রত্যায়ে মহেশখালী থানার আশ্রয় গ্রহণ করেছি। এবিষয়ে মহেশখালী ওসি মোঃ আব্দুল হাই বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে গত ২৩ নভেম্বর একটি পক্ষ বিরোধকৃত জায়গা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।