সরকারকে নিজের ঘর সামলানোর আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আগে নিজের ঘর সামলান পরে জিয়ার দিকে, বেগম খালেদা জিয়ার দিকে, তারেক রহমানের দিকে তাকান। গতকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ইচ্ছা করলে সারাদেশে মানববন্ধন করা যায়। সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে দেয়া যায়। মানুষকে সঙ্ঘবদ্ধ করে অনেক বড় পরিবর্তন সূচনা করা যায়। কিন্তু আমরা এই মুহূর্তে সেটা করছি না। কারণ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে গেছেন। জনগণের শান্তির উদ্দেশ্যে রাজনীতি করে গেছেন। তিনি এমন একটি দল প্রতিষ্ঠা করে গেছে, যে দল নিজে অত্যাচার সহ্য করে জনগণকে অত্যাচার থেকে রক্ষা করে। সেই দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তিনি বলেন, দেশের দ্রব্যের মূল্য কোথায় গিয়ে ঠেকেছে? বাজারে গেলে মানুষের মাথা নষ্ট হয়ে যায়। বিদ্যুতের দাম, গ্যাসের দাম, পানির দাম প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে। একই সাথে আওয়ামী লীগের চোরদের জোর বেড়েই চলেছে। আবার নতুন করে এই চোরদের ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা শুরু করেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা কর্মীদেরকে আওতাভুক্ত করা শুরু করেছে। আপনাদের মনে আছে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকের লুটপাট যখন চূড়ান্ত পর্যায় তখন অর্থমন্ত্রী এই নিয়োগগুলো বন্ধ করেছিলেন। সেগুলো আবার শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে আরেক দফা লুটপাটের চক্রান্ত চলছে।
আলাল বলেন, ব্যাংক লুট, বড় বড় বাজেটের নামে লুট, শেয়ার বাজার লুট করে দেশের জনগণকে নিঃস্ব করে, সর্বস্বান্ত করে আপনাদের রাজত্ব কায়েমের যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন প্রতিষ্ঠিত হবে না। যতদূর হয়েছে হয়েছে আর হবে না। এখন আর বিদেশীদের আপনাদের প্রভুদের সাহায্য পাবেন না। আর বাংলাদেশের মানুষ তো আপনাদেরকে অনেক আগেই ডিভোর্স দিয়েছে। যে কারণে এই হুদার মত ভুয়া নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছেন। যে কারণে ভোটের উপর থেকে মানুষের আগ্রহ এতোটাই কমে গেছে যে, তারা এখন ভোট নিয়ে চিন্তা করে না। বরং চিন্তা করে আলুর দাম, পেঁয়াজের দাম, চালের দাম কত। সুতরাং এই সমস্ত উত্তেজনা মূলক কাজ করে। মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর যে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র সেই জায়গায় গিয়ে রেহাই পাবেন না। বিমানবন্দরের নাম পাল্টানোর জন্য ১২ শ’ কোটি টাকা, রোবটের ১২ কোটি টাকা, লাল পতাকার ৯২ কোটি টাকা, স্যাটেলাইটের যে টাকা এই প্রত্যেকটি টাকার পাই পাই হিসাব দিতে হবে। দেশের মানুষের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই প্রতিটি টাকা পাই পাই হিসেবে বুঝিয়ে দিতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন প্রমুখ।