স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, “করোনা মোকাবেলায় রাজধানীতে আরো তিনটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকায় আরো সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড বৃদ্ধি পাবে।”
আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় মহাখালীস্ত ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিং এ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি কথা বলেন।
করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম ও শয্যাসংখ্যা উল্লেখ করে আরো বলেন, “বর্তমানে সরকার নতুন আরো ৩ টি প্রতিষ্ঠানকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে সুসজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।যাদের মধ্যে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০ বেড,ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কনভেনশন সেন্টারে ১৩০০ বেড ও উত্তরার দিয়াবাড়ি ৪টি বহুতল ভবনে ১২০০ বেড সহ মোট সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড দ্রুতই প্রস্তুত করা হচ্ছে।এগুলোর পাশাপাশি ঢাকার সরকারি মুগদা হাসপাতাল,নিটোর হাসপাতাল সহ আরো বেশকিছু হাসপাতাল করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত করা হবে। অন্যদিকে দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও পিপিই সরবরাহসহ নানাভাবে সরকারকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এই ভাইরাসকে মোকাবেলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে।”
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরে সরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতালে মোট ১৫৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০০ বেড সরকারি ও ১৫০ বেড ব্যক্তিমালিকানাধীন হাস্পাতালের। এছাড়া দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৭৭ টি,চট্রগ্রাম বিভাগে ৮৪৮ টি,ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৫০ টি,বরিশাল বিভাগে ৪৮৩ টি, সিলেট বিভাগে ১১৮ টি,রাজশাহী বিভাগে ১২০০ টি,খুলনা বিভাগে ১৮০ টি ও বরিশাল বিভাগে ৭৮৭ টি শয্যাসহ সারাদেশে মোট ৬৬৯৩ টি শয্যা শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ব্রিফিংকালে করোনায় সম্প্রতি দেশের চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট,পুলিশ,সেনাসদস্য, গনমাধ্যমকর্মী সহ অনেক পেশাজীবি ব্যক্তিবর্গ তাদের কাজে নিয়োজিত অবস্থায় আক্রান্ত হচ্ছেন জানিয়ে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ব্রিফিংকালে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ ও আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত থেকে কথা বলেন।
এমআইপি/প্রিন্স/খবরপত্র