কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ের অন্যতম বিনোদন স্পট রাবার ড্যামের সৌন্দর্য বিলীন হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় দিন দিন এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাবার ড্যামটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। যে কোন সময় ফুটো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদগাঁওয়ের ইসলামাবাদ ও জালালাবাদ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী সীমানায় ১৯৯৬ সালে ঈদগাও নদীতে আধুনিক মান সম্পন্ন দেশের প্রথম রাবার ড্যাম স্থাপিত হয়। যা এ অঞ্চলের শূষ্ক মৌসুমের চাষাবাদের নূতন সুচনা হয়। এ রাবার ড্যামের পানি দিয়ে বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের অনাবাদি জমিতে শূষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ করে আসছে প্রান্তিক চাষীরা। অন্যদিকে ঈদগাও নদীর উপর রাবার ড্যাম, নদীর উপর ব্রীজ, নদীর দুপারে বাঁশ বাগান, চারপাশে ফুলের বাগানসহ সব মিলিয়ে ঈদগাঁওয়ের অন্যতম বিনোদন স্পটে পরিনত হয়েছিল এই রাবার ড্যাম। স্থানীয় লোকজন ছাড়া অনেক দুর দুর্দান্ত থেকে লোকজন এসে এ বিনোদন স্পটে ভীড় জমাতো। শিশুদের উপস্থিতি থাকতো চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বর্তমানে বিলীন হয়ে গেছে এ অপার সৌন্দর্যের বিনোদন স্পট। উজাড় হয়ে গেছ চারপাশের বাঁশ বাগান, ফুলের বাগানে, সৌন্দর্যসহ সব কিছুই।এ এলাকায এখন ভুতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে। লোকজন চলাচল করতে ভয় পাচ্ছে। অন্যদিকে এ রাবার ড্যামের উপর দিয়ে বাশ, গাছ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা, ড্যামের উপর ময়লা আবর্জনা ফেলছে। একেবারেই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে এ রাবার ড্যাম। মে কোন সময় অযতœ অবহেলায় নষ্ট হয়ে ফুটো হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন। স্থানীয় মহিম, ব্যবসায়ী আলতাজ, আবুল কাসেম সহ অনেকে জানান, পরিচালনা কমিটির অযতœ অবহেলায় রাবার ড্যাম এলাকার বিনোদন স্পটটি নষ্ট হয়ে গেছে, এক সময় এখানে কেয়ার টেকার ছিল, চারপাশে ফুলের বাগানসহ বিভিন্ন গাছপালা ছিল, এখান যে বড় বড় গাছ ছিল এ গূলো কেটে ফেলা হচ্ছে। রাবার ড্যাম পরিচালনা কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি শাহ নেওয়াজ মিন্টূর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দ্বায়িত্ব গ্রহনের আগে থেকে এ অবস্থা, আমি দুই পাশে গাইডওয়াল ও সংস্কারের জন্য এলজিইডিতে আবেদন করেছি। রাতের জন্য লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করতেছি। আবার এ বিনোদন স্পটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনব। সচেতন মহল রাবার ড্যাম এলাকার বিনোদন স্পটটির সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।