দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ কলেজিয়েট গার্লস্ স্কুল ১৯৬৭ ইং সালে সাবেক সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র কমন রুম, কলেজ ক্যান্টিন এবং কলেজ ছাত্র সংসদ রুমকে কেন্দ্র করে কলেজিয়েট গার্সস্ স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে ১৯৮০-৮২ ইং সাল পর্যন্ত অত্র নারী বালিকা প্রতিষ্ঠানটি দুঃখ ও দুর্দশার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। এমতবস্থায় ১৯৮৮-৮৯ ইং সালে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডিতে যোগদান করে। তিনি অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে অতি দ্রুততার সহিত প্রতিষ্ঠানের উন্নতিকল্পে আত্মনিয়োগ করেন। প্রথমে তিনি আরডিআরএস ঠাকুরগাঁও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৭৫ ফিট পাকা টিনসেড বিল্ডিং নির্মাণ করেন। দ্বিতীয়ত এডিসি রাজস্ব সভাপতি থাকাকালীন সময়ে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা সচিব মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে একটি ৭৫ফিট দোতলা বিল্ডিং প্রতিষ্ঠা করে। এছাড়া জেলা পরিষদের সচিবের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে ছাত্রীদের জন্য ৪টি টয়লেট নির্মাণ করেন। এরপরে গুলবেগম প্রধান শিক্ষিকা থাকাকালিন সময়ে শিক্ষক কমন রুম সহ সাথে ছাত্রী বিজ্ঞানাগার নির্মাণ করেন। অবশেষে ১৯৯৪ ইং সালে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রস্তাবে এবং গভর্নিং বডির সর্বসম্মতিক্রমে এডিসি রাজস্ব এর সভাপতিত্বে কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে কলেজ সংযোজন করা হয়। তবে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের তদানিন্তন কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী চৌধুরীর কাছে এই মমর্মে নিশ্চয়তা আদায় করেন যে, মোহাম্মদ আলী চৌধুরী যে কোন মূল্যে কলেজিয়েট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ ছাত্রীদের জন্য পৃথক কলেজভবন নির্মাণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই সূত্র ধরে বোর্ড কর্তৃপক্ষ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদান করেন। এরপরে মোহাম্মদ আলী চৌধুরী কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের লক্ষ্যে মাননীয় শিক্ষা সচিব বরাবর প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২৫/০৯/২০০৭ ইং তারিখে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর তার দপ্তরে কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের জন্য দিনাজপুর জেলা বাসীর পক্ষে দরখাস্ত দাখিল করেন। এরপরে শিক্ষা সচিব মহোদয় একাধিকবার মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে তার দপ্তরে ডেকে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কলেজ বিল্ডিং নির্মাণ করা হবে মর্মে তাকে অবহিত করেন। এরপর দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরীর ২০০৯ ইং সালে একটি চিঠি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী শিক্ষা মন্ত্রী বরাবর পৌঁছে দেন। মন্ত্রী মহোদয় সেই চিঠির সূত্র ধরে মোহাম্মদ আলী চৌধুরীকে জানান যে, দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে কলেজ ভবন নির্মাণের সকল ব্যবস্থা চূড়ান্ত হয়েছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভলিয়মে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের অবিলম্বে কাগজপত্র এবং আদেশ ফ্যাসিলিটিজ বিভাগে পাঠানো হবে। এরপর তার কলেজ বিল্ডিং নির্মাণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল কলেজের চার তালা বিশিষ্ট কলেজ বিল্ডিং নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।