ধামরাই উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়েছে সরিষার। তবে উপজেলার সোমভাগ, বাড়ারিয়া, কুশুরা, রোয়াইল, বালিয়া, আমতা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ করেছে স্থানীয় কৃষকরা। যদি অনুকূল আবহাওয়া থাকে তাহলে সরিষার ফলন ধানের চেয়ে বেশি হবে বলে আশা করছেন কৃষক।তারা সরিষা ঘরে তুলেই ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করতে শুরু করবেন।এখন এসব এলাকার চাষিরা সরিষার পরিচর্যা নিয়ে ব্যাপক সময় পার করছেন। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ করতে পারলেই কৃষকদের চিন্তা দূর হবে। আবহাওয়া অনুকূলে তারপরও দুঃচিন্তায় প্রহর গুনে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে সরিষার। গত মৌসুমের তুলনায় এবার অনেক বেশি সরিষার আবাদ হচ্ছে ধামরাই উপজেলা জুড়ে। কৃষকের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হলেও টরি ৭, বারি ১৪, বীনা ৯ সহ কয়েক জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ধামরাইয়ের কুড়াল ভাঙা এলাকার কৃষক জালাল উদ্দীন জানান, জমি তৈরি করা থেকে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত প্রায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষা আবাদে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। এসব জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ সরিষার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। তবে এবার বাজারদর বেশি পাওয়ার আশা করছেন অনেকেই। একাধিক কৃষক জানান, অন্যান্য ফসলের মতো সরিষা আবাদে তেমন শ্রমের প্রয়োজন হয় না। জমি থেকে পাকা সরিষা সংগ্রহ ও মাড়াই করে ফসল ঘরে তোলার জন্য পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারী, বৃদ্ধ ও শিশু সদস্যরাও নিয়মিতভাবে কাজ করেন বলে জানা যায়। উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল গণি বলেন , অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে সরিষার ফলন ঘরে তোলা যায়। ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সরিষার ফলনও হয়েছে বেশ। সরিষার বর্তমান বাজারদর প্রায়১৮শত টাকা। তিনি আরো বলেন, যদি রোদে শুকিয়ে গুদামজাত করে পরে বিক্রি করতে পারলে সরিষার বাজারদর আরও বেশি পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।কিন্তু অভাবের তাড়নায় ফসল তুলার পরই বিক্রি করে দিতে হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন ,চলতি বছরে ধামরাইতে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে পুরো ধামরাই উপজেলায়। বিঘা প্রতি মাত্র তিন চার হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৫ মণ করে সরিষার ফলন পাবেন চাষিরা। অল্প খরচে বেশ লাভবান হয়ে থাকবেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরিষা চাষিরা।