পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন পাটগ্রাম উপজেলা পাথর বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক পাথর বালু ব্যবসায়ী সমিতি ও উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন লিপু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও ঠিকাদার নাজমুল হুদা রাসেল উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও পাথর ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক বাচ্চু পৌর যুবলীগ সভাপতি ঠিকাদার বিজয় কুমার সুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদার আবু নাঈম রুবেল সাবেক কাউন্সিলর মফিজুল ইসলাম পলাশ সাহা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিপু অভিযোগ করে বলেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রনালয়ের স্বারকের আলোকে গত ৮ জানুয়ারী শহীদ আফজাল মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম। মতবিনিময় সভায় পাথর কোয়ারী বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দ্প্তর প্রধান ও অংশী জনের সাথে হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় পাথর বালু ব্যবসায়ীদের অবহিত না করে বহিরাগত ব্যবসায়ীদের নিয়ে ওই সভা করা হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মোফাজ্জল হোসেন লিপু বলেন ইউ্এনও কামরুন নাহার পাটগ্রামে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে পাথর বালু ট্রাক্টর মালিক শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। ঠিকাদার বিজয় কুমার সুর বলেন ইউএনও অকারনে ঠিকাদারী কাজের কাগজপত্র তার দপ্তরে আটক করে রাখেন। আমাদের ঠিকাদারী কাজের ইট বালু প্রতিটি টেস্ট করা হয়। কিন্ত তিনি যে গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করছেন সেসব কি টেস্ট করা হয় ? তিনি গুচ্ছ গ্রামের ঘর গুলোতে কয়টি জ্বানালা লাগানো হচ্ছে তা সাংবাদিকদের খুজে দেখার আহবান জানান। তিনি অভিযোগ করেন কমিটি ছাড়াই তিনি একাই সবকিছু। সাংবাদিক সম্মেলনে ইউএনও কামরুন নাহারকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হলে মানববন্ধন সহ ব্যাপক কর্মসুচী দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়। এ বিষয়ে ইউএনও কামরুন নাহার তার বিষয়ে আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে প্রশ্ন রেেেখ বলেন দাওয়াত না পেয়ে মতবিনিময় সভায় কারও উপস্থিত হওয়া যায় কিনা? তিনি বলেন এখানে আগে বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হতো সেটি মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপে বন্ধ করা হয়েছে। এখনো একটি বিশেষ মহল পাথর এবং বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এই কাজটি এতদিন তারা চুপিসারে করলেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কারনে তাদের স্বার্থ হানি হয়েছে ফলে তারা অনৈতিক ভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তারা আমার যে অপসারণ দাবী করছে তারও কোন ভিত্তি নেই।