প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী নির্বাচন পরিচালনার ব্যাপারে কারচুপির অভিযোগ থাকেই। হেরে গিয়ে আমেরিকাতেও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে হেরে গেলে বলা হয় কারচুপি হয়েছে। এটা এ দেশের সংস্কৃতি। আওয়ামী লীগ হেরে গেলে তারাও কারচুপির অভিযোগ তুলতেন।
আগামী ১৬ জানুয়ারি হতে যাওয়া সাভার পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল বুধবার সাভার উপজেলা পরিষদ হলরুমে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দলকে ইসির ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি দাবি করেন যে, দেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যে কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে আস্থায় আনার চেষ্টা করা হয় জানিয়ে নূরুল হুদা বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের যে কোনো দেশে সাধারণ নির্বাচনে যে দল হেরে যায় তারা কারচুপির অভিযোগ তোলে। বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের আগে সাভারে কোনো বহিরাগত মানুষ থাকতে পারবেন না। এমনকি কোনো ব্যক্তি অস্ত্র নিয়ে কোথাও থাকতে পারবেন না।
নির্বাচনের পরিবেশ কেউ অশান্ত করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। এ জন্য ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারছেন। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট কারচুপি হয় না বলেও দাবি করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আলমগীর, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, দেশের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এ সরকারের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা ছিল একতরফা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, জালভোট প্রদান, ভোট ডাকাতি, মৃত ব্যক্তির ভোট প্রদান, গায়েবি ভোট, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়াসহ অভিনব ভোট সন্ত্রাসের বহু বিচিত্র দৃশ্য। যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে এবং হচ্ছে।’