সরকারের অনুমোদন ছাড়াই নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় ৪৫টি স’মিলে চলছে রমরমা ব্যবসা। এসব মিলে সাবাড় হচ্ছে মেহগনি, ইউকেলিপটাস, আম, জাম, কাঁঠাল, জলপাই, নিম, জাত সহ নানা প্রজাতির গাছ। অনুমোদনহীন এসব মিলের অনুমোদন না থাকায় সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে। উপজেলার বিভিন্ন স’মিল ঘুরে দেখা গেছে, মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের সুনির্দিষ্ট বিধান থাকলেও চিত্র একেবারেই বিপরীত। এসব মিল মালিক ৭-৮ বছর থেকে অনুমোদন ছাড়াই দিব্বি চালাচ্ছে স’মিল। লাইসেন্সবিহীন স’মিলগুলো বন্ধ করার কোনো উদ্যোগও চোখে পরেনি। এসব মিল চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুত করে রাখা হয়েছে। কাক ডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব মিলে বিরামহীন চলছে কাঠ কাটার কাজ। উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, ‘অবৈধ স’মিলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। দ্রুত ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক (ভূইয়া) এ প্রতিবেদককে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক যদি এমন হয় তবে তা খতিয়ে দেখা হবে।