শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

নদীভাঙ্গনে বিপন্ন সুনামগঞ্জের মইনপুর জগন্নাথপুর ও ইব্রাহিমপুরের মানুষ

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২১

সুনামগঞ্জ শহরতলীর ইব্রাহিমপুর, জগন্নাথপুর ও মইনপুর গ্রাম নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে অন্তত শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্রে সরে গেছেন। একাধিক পরিবার নি:স্ব হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। একদিকে বসতবাড়ী অন্যদিকে হালুয়ারঘাট বাজার থেকে মইনপুর গ্রাম পর্যন্ত এলজিইডির নির্মিত একমাত্র পাকা রাস্তাটি নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে ভেঙ্গে গেছে। ৩ গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই এমন অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থদের। ইব্রাহিমপুর গ্রামের উত্তর পাড়ের করুখালির মুখ হইতে হালুয়ারঘাট ইটখলা পেরিয়ে হালুয়ারঘাট খেয়াঘাট পর্যন্ত পুরাতন বাড়ীঘরের চিহ্নমাত্র বর্তমানে বিদ্যমান নেই। মইনপুর গ্রামের বোয়াল্লিয়া হাটি নামে একটা মহল্লা ছিল এটি বর্তমানে নেই, বোয়াল্লিয়া হাটির মধ্যে থাকা পুরনো একটি মসজিদ নদীগর্ভে অনেক বছর আগেই বিলীন হয়ে গেছে। গ্রামের পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এটিকে গ্রামের রাস্তার পশ্চিমপার্শ্বে সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু ভাঙ্গনের তীব্রতা এতটাই প্রবল যে আস্তে আস্তে গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও এর শিকার হচ্ছে। সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ মইনপুর গ্রামবাসী জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে বছরের পর বছর নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে গ্রামের অর্ধেকেরও বেশি ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষায় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়ে আসছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। কিন্তু কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি আজো। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও একাধিকবার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ভূক্তভোগীরা আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের কারণে মইনপুর গ্রামটি ক্রমাগত বিলীন হতে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের অনেকে বসতঘর ও ভিটা হারিয়েছেন। নদী ভাঙ্গনে নি:স্ব হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। মইনপুর গ্রামের মৃত আরফান আলীর পুত্র মইনুল হোসেন, মৃত হারিছ আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন, মৃত আব্দুল হাশিশের পুত্র তোলা মিয়া, মৃত মছদ্দর আলী জারু মিয়ার পুত্র আব্দূন নুর, মুক্তিযোদ্ধা নজীর আলীর পুত্র মছদ্দর আলী, মৃত আব্দুস ছত্তারের পুত্র জহুর মিয়া, মৃত ঈসমাইল আলীর পুত্র মাওলানা মুজিবুর রহমান, আব্দুল গনীর পুত্র আশিক মিয়া, মৃত আম্বর আলীর পুত্র নূর হোসেন,মৃত আব্দুল ওয়াহিদ গেদা মিয়ার পুত্র মিজানুর রহমান, মৃত আব্দুল জলিল কাচা মিয়ার পুত্র আব্দুল হক, মৃত ফয়েজ আলীর পুত্র সৈয়দ মিয়া, মৃত আলম উল্লাহর পুত্র কুদরত আলী, মৃত হবিব উল্লাহর পুত্র আব্দুস ছত্তার, মৃত খুশিদ আলীর পুত্র সেলিম আহমদ,মৃত আহমদ আলীর পুত্র শওকত আলী, মৃত মমসির আলীর পুত্র নূর মিয়া, মৃত সোহরাব আলীর পুত্র মকব্বির মিয়া, মৃত হবিব উল্লাহর পুত্র শিপু মিয়া, মৃত ছৈলা আবেদীন মিয়ার পুত্র আব্দুল মতলিব, মৃত আব্দুস ছত্তারের পুত্র আব্দুল খালেক, মৃত জাবিদ উল্লাহর পুত্র মকদ্দুছ আলী জনর, মৃত হবিব উল্লাহর পুত্র শহীদ আলী,মৃত ইনছান আলীর পুত্র আকামত আলী, মৃত হারিছ উল্লাহর পুত্র জিয়াউর রহমান, মৃত আকিক মিয়ার পুত্র গোলাম কিবরিয়া, মৃত ছাদক আলীর পুত্র মমসির আলী, নুর ইসলামের পুত্র কাছম আলী,মৃত সোনা মিয়ার পুত্র সফাত আলী, মৃত হাছন আলীর পুত্র কোহিনূর মিয়া, মৃত সোনা উল্লাহর পুত্র মোঃ আলাউদ্দিন,মৃত আব্দুল গনীর পুত্র আব্দুল হক, মৃত আব্দুল করিমের পুত্র মাসুক মিয়া, মৃত আকিক মিয়ার পুত্র সামছুল আলম, মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র সিরাজ মিয়া, মৃত আশরাফ উদ্দিনের পুত্র মইন উদ্দিন, মৃত আব্দুর রউফের পুত্র আব্দুল আলী, মৃত সোনা মিয়ার পুত্র আব্দুল আওয়াল, মৃত মরম আলীর পুত্র এশাদ আলী, মৃত নছিব উল্লাহর পুত্র নুর আহমদ,মৃত ওয়াছির আলীর পুত্র সফাত উল্লাহ, মৃত আব্দুস ছত্তারের পুত্র হাবিবুর রহমান,মৃত সফাত উল্লাহর পুত্র বাদশা মিয়া, মৃত আশিক মিয়ার পুত্র ছাব্বির আহমদ, মৃত আহমদ উল্লাহর পুত্র আবেদীন মিয়া, মৃত আব্দুল মিয়ার পুত্র আজির উদ্দিন, মৃত সোনা উল্লাহর পুত্র আরজদ আলী,মৃত উস্তার আলীর পুত্র কালা মিয়া, মৃত ছায়েদ আলীর পুত্র জলাল মিয়া, মৃত আব্দুল গনীর পুত্র নায়েব আলী ও আইয়ুবুর রহমান, মৃত ইয়াদ আলীর পুত্র ময়না মিয়া, মৃত ইদু মিয়ার পুত্র ছায়েদ মিয়া, মৃত আব্দূন নূরের পুত্র জাকির হোসেন ছাড়াও মকদ্দুছ মিয়া, মসাইদ আলী ও আব্দুল জানসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ী এখন সম্পূর্ণরুপে হুমকীর সম্মুখীন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০টি পরিবারের লোকজন নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নি:স্ব হয়ে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে নতুন করে বসতভিটে নির্মাণ করে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। আবার কেউবা পরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে এখনও মাথাগুজার ঠাই নির্মাণ করতে না পেরে মানবেতর দিন যাপন করছেন। চলতি বছর নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বসতভিটা হারিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দা জায়েদ হোসেন, মখদ্দুছ আলী, হাছিনা বেগম, জমশেদ আলী, আছিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগম। আরফান আলীর অর্ধেক বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। বিগত সময়ে মাও. মুজিবুর রহমান, করম আলী, আব্দুল মতলিব, তুলা মিয়া, আশিক মিয়া, আব্দুল হামিদ, আছদ্দর আলীর বসত ঘরসহ অনেকের বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মাও. মুজিবুর রহমান বলেন, আমার বসত ঘরসহ বাড়ি বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কোনো সাড়া পাইনি। হাছিনা বেগম জানান, আমার ঘর গেল, বাড়ি গেল নদী ভাঙ্গনে। এই বিষয়ে অনেককে জানিয়েছি, কেউ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এখন আমি অন্যের বাড়িতে থাকি। আমার মাথা গুজার ঠাঁই নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ময়না মিয়া বলেন, এই নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে দেশ স্বাধীনের পর থেকে। পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রামের মানুষ বছর বছর বসত ভিটা সরিয়ে নিয়েও রক্ষা পাচ্ছেন না। স্থানীয় সমাজসেবক এরন মিয়া বলেন, আমাদের গ্রাম পর্যায়ক্রমে ভেঙ্গে এখন চিত্র পাল্টে গেছে। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ি-ঘর ভাঙ্গন থেকে বাঁচাতে অন্যত্র সরানো হয়েছে। তবুও মানুষ ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। সমাজসেবী শিপু মিয়া বলেন, বাড়িঘরের পাশাপাশি হালুয়ারঘাট বাজার থেকে মইনপুর গ্রামমুখী একমাত্র পাকা রাস্তাটিও ভেঙ্গে গেছে। ৩ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ঐ রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামত ও পূন: নির্মাণ না করলে আমরা অবর্ণনীয় দূর্ভোগের সম্মুখীন হবো। আবেদীন মিয়া বলেন, ব্লক পাথর ও সিমেন্টের বস্তা ফেলে এখনই এই মুহুর্তে আমাদের গ্রামের রাস্তাটি সংস্কার করা অতীব জরুরী। সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুছ সাত্তার বলেন, আমার ইউনিয়নের নদীরপাড় গ্রামের বাড়ি-ঘর প্রতি বছর ভাঙ্গতেই আছে। বিশেষ করে মইনপুর গ্রামের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোনো সময় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমার ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর নদীরপাড়ের ভাঙ্গন প্রতিরোধে দুইবারে প্রায় ৪ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছে, সেই বরাদ্দে সঠিক কাজ হয়নি বলে অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঠিক তেমনই মইনপুর গ্রামের প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন ভাঙ্গনে মাত্র কয়েকটি বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল গত বছর। কোনো কাজে আসেনি। জানা যায়, মইনপুর গ্রামের হালুয়ারঘাট বাজার হতে মইনপুর বড় খাল পর্যন্ত সমস্ত গ্রাম ভেঙ্গে যাচ্ছে। বিলীন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের একমাত্র রাস্তা, স্কুল, মক্তব, ঘরবাড়ী, গাছপালা। সুরমা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্যা পদপ্রার্থী তানজিনা বেগম রোকশানা বলেন, ইব্রাহিমপুর,জগন্নাথপুর ও মইনপুর গ্রামকে রক্ষা করতে হলে ইব্রাহিমপুর গ্রামের উত্তর পাড়ের করুখালির মুখ হইতে হালুয়ারঘাট ইটখলা পেরিয়ে খেয়াঘাট পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করতে হবে। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি। জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু বর্মণ, সাধন বর্মণ, আমজদ আলী,সবুজ বর্মণ, কামিন্দ্র বর্মন, নান্টু বর্মন, দুলাল মিয়া ও সুজন বর্মন জানান, আমাদের জগন্নাথপুর গ্রাম পুরোটাই নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে। ইতিপূর্বে গ্রামের মধ্যে দিয়ে নদীরপাড় মুখী একটি রাস্তা ছিল জনসাধারনের চলাচলের সেই রাস্তা ও রাস্তার পূর্বপাশের বাড়িগুলো অনেক আগেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।এখন আমাদের গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কতদিন ঠিকে থাকবে আমরা সেই আশ্কংাই করে যাচ্ছি। জগন্নাথপুর গ্রামের ফলবিক্রেতা বকুল মিয়া, ছোবহান মিয়া, রামপ্রসাদ বর্মন, রঞ্জিত বর্মন, রিপন বর্মনসহ অনেকের বসতবাড়ী এখন হুমকীর সম্মুখীন। জেলার প্রধান নদী সুরমা পাড়ের জগন্নাথপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের বসতবাড়ী রক্ষায় অবিলম্বে নদীর পাড়ে প্রতিরক্ষা দেয়াল স্থাপনের জোর দাবী জানান তারা। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সবিবুর রহমান বলেন,স্থায়ী নদীশাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় ইব্রাহিমপুর, জগন্নাথপুর ও মইনপুর গ্রামগুলোকে রক্ষা করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরন করেছি। প্রকল্প অনুমোদন হলেই মইনপুর, জগন্নাথপুর ও ইব্রাহিমপুর গ্রামগুলো রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, নদীভাঙ্গন আমার নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমস্যা। অতীতে এই সমস্যা সমাধানে কেউই কোন উদ্যোগ নেননি। আমি নদীভাঙ্গন কবলিত ইব্রাহিমপুর গ্রামের একাংশ রক্ষা করার জন্য প্রথমে উদ্যোগ নেই এবং ব্লক পাথরের কাজ বাস্তবায়ন করি। বর্তমানেও ইব্রাহিমপুর, জগন্নাথপুর ও মইনপুর গ্রামের নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলোর খোজখবর নিয়েছি। হালুয়ারঘাট বাজার থেকে মইনপুর গ্রামমুখী এলজিইডির একমাত্র রাস্তাটিও ভেঙ্গে গেছে। এই রাস্তাটি ৩ গ্রামের সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট, বিদ্যালয়, মসজিদ, মক্তব ইত্যাদি হুমকীর মুখে পড়ায় আসলে তারা অনেক কষ্টে আছেন। আমি মন্ত্রীর সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করবো ও মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেবো। আমার নির্বাচনী এলাকার নদীভাঙ্গন কবলিত সবগুলো গ্রাম রক্ষা ছাড়াও হালুয়ারঘাট বাজার থেকে মইনপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তাটিকে মেরামতসহ যত ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করা দরকার তার সবগুলো পদক্ষেপ বাস্তবায়নে আমার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com