হাটহাজারীতে নাজিরহাট রেল লাইন সংলগ্ন বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জায়গা অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২১জানুয়ারী) সকাল থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা ভ্রাম্যমান আদালের অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করে গুঁড়িযে দেয়া হয় অবৈধ স্থাপনা। এতে প্রায় রেলওয়ের ৫২শতক জায়গা উদ্ধার হয়। রেলওয়ের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান এর নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, জনৈক সিরাজুল ইসলাম কোম্পানি কর্তৃক নজিরবিহীনভাবে রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে ১৭টি সেমিপাকা ঘর ও ২টি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দেয়। প্রতিটি ঘর ৩/৪হাজার টাকা করে প্রতিমাসে ভাড়া নেয়। একই একই দাগের ২৬ শতক জমিতে স্থায়ী ভিম দিয়ে দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে স্থাপন করেছেন মুরগীর খামার। এছাড়াও ৩.৮৩ শতক জমিতে নির্মাণ করেছেন বায়োগ্যাস প্লান্ট। উক্ত জমি জনৈক সিরাজ শুধু দখলই করেননি একপাশে সু-উচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছেন বিশাল গেইট। খালের মধ্যে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বাধাঁর সৃষ্টি হবে। অবৈধ দখলদারকে জিজ্ঞেস করা হলে জানান, রেলওয়ে থেকে তিনি লীজ নিয়েছেন জায়গা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, রেলওয়ের নিজস্ব অবৈধ দখলে থাকা ৫২শতক সম্পত্তি উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়। যদিও দখলদার লীজ নিয়েছে বলে দাবি করেন, কিন্তু লীজের কাগজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ১৪২৬ বাংলা সন পর্যন্ত কৃষি কাজের জন্য লীজ নিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি ব্যস্থাপনা নীতিমালা-২০২০ এর ৩০ ধারায় বলা আছে চাষযোগ্য কৃষি ভূমি ২ বছরের জন্য লাইসেন্স প্রদান করা যাবে। লীজ গ্রহীতা কৃষি কাজের জন্য ৩০ শতক জমি লীজ নিলেও বাস্তবে তা কৃষি জমি নয়। ৩০ শতক লীজ নিয়ে দখল করেছেন ৫১ শতক। নীতিমালায় আবাসিক ঘর নির্মাণ নিষেধ থাকলেও ১৭টি ঘর ও দুইটি দোকান নির্মাণ করেছেন। দোতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে স্থায়ী স্থাপনা অর্থাৎ দোতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। এক সনা লীজে এরকম স্থাপনা নির্মান বিস্ময়কর বলেও তিনি জানান। খাল দখল করে বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ করেছেন অবৈধ দখলদার। উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও, এসিল্যান্ড) যৌথভাবে দুই দিনে খাল দখলমুক্ত করেছে বাকি দখলের বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রনালয় কে অবহিত করা হবে বলেও ইউএনও জানান।