কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং ডিপোকে শোর ডিপোতে রুপান্তরের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে ঘন্টাব্যপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে চিলমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন,চিলমারী নদী বন্দরে ১৯৮৯ সালে উত্তরবঙ্গে জ্বালানী তেল সরবরাহের উদ্দেশ্যে তিনটি ভাসমান তেল ডিপো স্থাপিত হয়। ইতোমধ্যে অবহেলা, নজরদারীর অভাবে ভাসমান পদ্মা ডিপোটি চিলমারী হতে উঠিয়ে নেয়া হয়। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতার সংকট ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরে যমুনা ও মেঘনা ভাসমান তেল ডিপোতে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের চিলমারী শাখার সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর মেহাম্মদ বলেন, এতে করে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ বৃহত্তর রংপুর বিভাগের প্রায় অর্ধকোটি কৃষক, নৌযান, ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডিপোতে তেল সরবরাহ না করলে হরতাল, অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহনের হুশিয়ারী দেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিচু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফা রঞ্জু, রংপুর বিভাগ ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম খুশু প্রমুখ। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।