চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে সব শিল্পকারখানার মালিকদের নির্দেশ দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। নির্দেশনা অনুযায়ী বেতন না দিলে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সোমবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে শ্রমিকদের সরকারি নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প পুলিশের বরাত দিয়ে জানানো হয়, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, ময়মনসিংহ ও খুলনায় শিল্পকারখানা রয়েছে ৭ হাজার ৬০২টি। তার মধ্যে গত রবিবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫৬ কারখানা শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেছে। ৫ হাজার ৬৪৬টি কারখানা বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। তবে শিল্প পুলিশের হিসাবে ঢাকা মহানগরীর শিল্পকারখানার বেতন-ভাতা পরিশোধের তথ্য নেই।
এদিকে অধিকাংশ পোশাক কারখানাই শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় রবিবার থেকে ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সোমবারও কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর মোট সদস্য পোশাক কারখানার সংখ্যা ৪ হাজার ৬২১। তার মধ্যে সরাসরি রপ্তানি করে ২ হাজার ২৭৪টি। বাকি ২ হাজার ৩৪৭টি অন্য কারখানার কাজ ঠিকায় বা সাবকন্ট্রাকটিং করে। সরাসরি রপ্তানি করা ২ হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ৭৬১টি রবিবার পর্যন্ত মার্চ মাসের মজুরি দিয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেছে বিজিএমইএ। তবে ঠিকায় কাজ করা কারখানার মধ্যে কতগুলো মজুরি দিয়েছে, তা জানাতে পারেনি সংগঠনটি।
অন্যদিকে বিকেএমইএর সদস্য কারখানার সংখ্যা ২ হাজার ২৮৩। তার মধ্যে সরাসরি রপ্তানি করে ৯৮৯ কারখানা। সংগঠনটির প্রায় ২০ শতাংশ কারখানা মজুরি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএর একজন নেতা। -এইচ,আর/ খবরপত্র