গাজীপুরের কালীগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিক্ষুক পুনবাসন কার্যক্রমের উদ্ভোদন করেন জেলা প্রশাসক এস.এম. তরিকুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনে আয়োজনে “মুজিববর্ষের অঙ্গীকার বিক্ষুকমুক্ত কালীগঞ্জ গাড়ার” স্লোনগানকে সামনে রেখে। ভিক্ষুক পুর্নবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের ভিক্ষুক ফুল মেহের এর মেয়ের জামাই রাকিবুল হাসানের হাতে অটোরিকশার চাবি, তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিখোলা গ্রামে ভিক্ষুক মোজাম্মেল হক (৬০) কে মুদির দোকান, একই গ্রামের ভিক্ষুক তানিয়া বেগমকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দূর থাকার জন্য একটি গরু দেয়া হয়েছে এবং বক্তারপুর ইউনিয়নের মাজুখান গ্রামের ভিক্ষুক ফাতেমা বেগমের মেয়েকে প্রাণ-আর এফ এল কোম্পানীতে চাকরির ব্যবস্থা করে, তার হাতে নিয়োগ পত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক এস.এম. তারিকুল ইসলাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শিবলী সাদিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথিঃ সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস. এম আনোয়ারুল করিম। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো.শাহাদৎ হোসেন, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইসিটি অফিসার উদয় হোসেন মিল্টন সহ কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ। এ সময় প্রধান অতিথি এস.এম. তরিকুল ইসলাম বলেন- মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি হলো কোন মানুষ গৃহহীন ও ভিক্ষাভিত্তিতে থাকবে না। ভিক্ষাভিত্তিতে যারা আছেন তাদের পুনবাসনের জন্য সরকারের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ চার জন মানুষ যারা ভিক্ষার ভিত্তিতে জরিত ছিল তাদের দোকান, গরু, অটো রিক্সা, চাকরী দিয়ে তাদেরকে পুনবাসনসহ তাদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে। তারা কোন আর কোন দিন এই কাজ করবে না। অপরদিকে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে দরিদ্র মিমোচনের লক্ষ্যে সমৃদ্ধ উচ্চ মূল্যের অপ্রধান শস্য উৎপান ও বাজারজাতকরণ কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ১৫ হাজার টাকা করে ১১ জন কৃষকের মাঝে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে এবং অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে ৮% লাভে ৭০ হাজার টাকা প্রদান কারা হয়