চারুশিল্পী,সাংবাদিক,গবেষক ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লুৎফুল হক আর নেই (ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। গত ১৭ জানুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন লুৎফুল হক। তিনি ২ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্ব^জন, বন্ধুু-বান্ধব, সহকর্মী এবং গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সৈয়দ লুৎফুল হকের বড় ছেলে সৈয়দ আরিফুল হক ড্যানী বাসস’কে জানান,গতকাল বুধবার বাদ যোহর লুৎফুল হকের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হয়। জানাযা শেষে তার লাশ বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয়। এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান এক বিবৃতিতে সৈয়দ লুৎফুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
১৯৬৮ সালে দৈনিক ইত্তেফাক দিয়ে সৈয়দ লুৎফুল হক সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ সময় তিনি দৈনিক বাংলা,সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক বাংলা-বিচিত্রা,দ্যা টাইমসসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দি ইন্ডিপেনডেন্ট। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সৈয়দ লুৎফুল হক ছিলেন প্রচারবিমুখ একজন মানুষ। তার শিল্পকলা বিষয়ে ১০টি বইসহ ১৫টি গ্রন্থ রয়েছে। লুৎফুল হকের লেখা আরো তিনটি বই এবছর বই মেলায় প্রকাশের অপেক্ষায় ছিল। গবেষণায় স্বাচ্ছন্দ্য লুৎফুল হক দেশের একজন স্বনামধন্য চিত্রকর ও প্রচ্ছদশিল্পী। তার উল্লেখ্যযোগ্য প্রকাশনা হল সংবাদপত্রের ডিজাইন, দশ দিগন্তের দশ বাসিন্দা।
তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদক, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক, নীপা পদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব লেখক সম্মাননা পদক পান।