শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নজরদারি চান বিশেষজ্ঞরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ইন্টারনেটে কাটাচ্ছে এসব কিশোর-কিশোরীরা। এ সময় তারা যেন কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করতে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে এরা কোনো ধরনের বিপদে পড়ছে কি না, দ্বিতীয়টি তারা কোনো আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে কিনা। এ বিষয়গুলো বাবা মাকে খেয়াল রাখতে হবে।
এ বিষয়ে কানাডা প্রবাসী প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আশরাফ উজ্জামান রাইজিংবিডিকে বলেন, সাইবার অ্যাবিউজ খুব কমন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এটা একটা হুমকির জায়গা। আরেকটি হচ্ছে অ্যাডিকশন। বাচ্চারা এখন ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারে না বা থাকতে চায় না এমন আচরণ করে। মৌলিক কিছু জিনিসে পরিবর্তন এনে একটু সচেতন হলেই এদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা বা ইন্টারনেট ব্যবহারে নজরদারি করা সম্ভব।
এজন্য তিনি সন্তানের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৭টি বিষয়ের ওপর অভিভাবকদের খেয়াল রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
১. প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার। গুগলে একটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে। যা ব্যবহার করে সন্তানরা কী দেখছে তার ওপর নজরদারি করা সম্ভব।
২. কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ-এর একটি প্যারেন্টাল সেফ ব্রাউজার। এটা সন্তানের ডিভাইসে ইন্সটল করা হলে, এর মাধ্যমে কোনো ধরনের অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট দেখতে পারবে না সে।
৩. চাইল্ড ভার্সন অপশন ব্যবহার। ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের চাইল্ড ভার্সন আছে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে দেওয়া যায়, যেটি তারা ব্যবহার করলেও অভিভাবকদের সুপারভাইজ করার সুযোগ থাকবে।
৪. ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় সচেতন হোন। যে কোম্পানি থেকে সংযোগ নিবেন, খবর নিন তাদের সেফ ইন্টারনেট-এর ফিচারটি আছে কি না। থাকলে তবেই সংযোগ নিন।
৫. সন্তান কতক্ষণ অনলাইন বা ইন্টারনেটে থাকবে তার একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন।
৬. ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আপনিও সন্তানের সঙ্গে থাকুন। তাদের শিক্ষামূলক বিভিন্ন চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট দেখতে উৎসাহিত করুন। নতুন কিছু শিখতে বা তৈরি করতে তাদেরকে আগ্রহী করে তুলুন।
৭. আপনি কী দেখছেন সে বিষয়েও সতর্ক হোন। সাধারণত একটি বাড়িতে একটি ওয়াইফাই সংযোগ নেওয়া হয় এবং বাড়ির প্রতিটি সদস্য সেটা শেয়ার করে ব্যবহার করে। তাই বাড়ির বাবা-মা বা প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্যরা যদি উল্টা-পাল্টা কিছু সার্চ করে বা দেখে, তাহলে সেগুলো ওই আইপি অ্যাড্রেসেই জমা হয়। আপনার সন্তানরা কিছু ব্রাউজ করলে ওই জিনিস বা কন্টেন্টগুলো তাদেরও সামনে চলে আসবে। তাই ওদের এরকম কন্টেন্ট থেকে দূরে রাখতে ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে।- রাইজিংবিডি.কম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com