সমস্ত বাড়ির আঙিনা জুড়েই শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফলজ বৃক্ষ। এর মধ্যে বাহারী জাতের আমের মুকুল নজড় কাড়ছে সকলের। ফাগুন আসার আগেই মুকুলের সমারোহ। আর এমনই একটি ফলজ বৃক্ষের বাগান করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার আড়–য়াবর্ণি গ্রামের মো. ওহাব আলী শেখের পুত্র ইব্রাহিম শেখ। ইব্রাহিম শেখের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাড়ির আঙিনাসহ আশ-পাশের প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে ফলজ বৃক্ষের বাগান করেছেন তিনি। এ বাগানে আম, জাম, লিচু, পেঁয়ারা, কাঁঠাল, কামরাঙ্গা, আপেল, কমলা, রামভুটানসহ প্রায় অর্ধশত প্রাজাতির কয়েক শ’ ফলের গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এ সকল বৃক্ষের মধ্যে হিমসাগর, আমরূপালি, লেংড়া, পালমা, হাঁড়িভাঙা, কিউজারি, ফজলি, বারোমাসি, সূর্যের ডিমসহ নানা জাতের উন্নত মানের আমের চারা লাগিয়েছেন। বর্তমানে এর অধিকাংশ গাছে মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আমের ফলন আশানুরূপ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া তিনি বিষমুক্ত ফল খাওয়াতে চান মানুষকে। এ বিষয়ে আড়–য়াবর্ণি গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুর রহমান খাঁন জানান, ইব্রাহিম শেখ একজন বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। চিতলমারী সদর বাজারে তিনি ব্যবসা করেন, পাশাপাশি অবসর সময়ে ফলের বাগান পরিচর্যা করে দিন কাটে তার। বাগান জুড়েই এখন সবুজের হাত ছানি। এমন বৃক্ষের বাগান এলাকায় খুব কমই চোখে পড়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান, এখানকার মাটিতে আমের ফলন বেশ ভালো হয় তবে বিদেশি জাতের আমের ব্যাপারে এখনো পরিক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ফল চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।