নওগাঁয় পুলিশ কর্তৃক এক আইনজীবি মারাত্মক ভাবে প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সভায় দায়ী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশন। সুত্রে জানা গেছে, গতকাল জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এ্যাডঃ আবু সাঈদ মুরাদ পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে কোর্ট চত্বরে প্রবেশ করার সময় প্রধান গেইটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাধা প্রদান করে। নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দেয়ার পরও তাকে ঢুকতে দেয়া হয় না বরং তাকে অশালীন ভাবে গালিগালাজ করা হয় বলে প্রহৃত আইনজীবি মুরাদ জানান। এর প্রতিবাদ করায় সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব, পুলিশ সদস্য মুক্তার হোসেনসহ ১০/১৫ জন পুলিশ তাকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট শুরু করে। তাকে এলোপাতারী মারপিটের এই ঘটনা দেখে সেখারেন উপস্থিত আইনজীবিসহ সাধারন মানুষরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে পুলিশ তাদেরও তাড়া করে। এক পর্যায়ে জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ্যাড. খোদাদাদ কান পিটুসহ আইনজীবিরা এগিয়ে এলে পুলিশ তাদের উদ্দেশ্যে রাইফেল তাক গুলি করার উপক্রম করে। এ সময় কোর্ট চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবিসহ কোর্টে আসা সেবা গ্রহীতারা দিকিবিদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। আহত আইনজীবি মুরাদকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সকল কোর্টে আইনজীবিরা তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বার এ্যসোসিয়েশন মিলনায়তনে তাৎক্ষনিক এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। জেলা বারের সভাপতি এ্যাড. খোদাদাদ খান পিটুর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আইনজীবিরা বক্তব্য রাখেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কোর্টের সকল কার্যক্রম বন্ধসহ আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার দাবী জানানো হয়। না হলে পরবর্তীতে আরও কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী প্রদা করা হয়েছে। পরে আইনজীবিরা বার থেকে একটি মৌন মিছিল করে আদালতের চত্বরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সেখানে গিয়ে ষে হয়।