রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন

ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অনশন পণ্ড

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ পরীক্ষা, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করাসহ ৩ দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের অনশন ও অবস্থান কর্মসূচী পুলিশের বাঁধায় স্থগিত করছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার সকাল ১১টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দাবি নিয়ে অনশন কর্মসূচিতে যেতে চাইলে সেখানে বাঁধা দেয় পুলিশ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পুলিশ তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে বাঁধা দেয়।
তিন দফা দাবিগুলো হলো: ১. অনার্স ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সেশনের করোনাকালীন দিক বিবেচনা করে এবং দীর্ঘ ১১ মাস পর ফলাফল প্রকাশে বিলম্বিত হওয়ায় ৩ বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে সুযোগ দেয়া হোক। ২. করোনাকালীন সময় বিবেচনা করে সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণ এবং পরীক্ষার প্রশ্ন নাম্বার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে তা না হলে সময় ২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৪ ঘণ্টা করতে হবে।
৩. সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করতে হবে।
গত ২৪ জানুয়ারি এসব দাবিতে কবি নজরুল সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের অবরোধ করে অনশন শুরু করেন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্তের আশ্বাস দিলে অনশন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ বিষয়ে এখনো কেন সিদ্ধান্ত না নেয়া হলে আবার অনশন কর্মসূচির ডাক দেন তারা।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২০১৮-১৯ সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শিমুল আহমেদ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমরা তিন দফা দাবি নিয়ে রাজুতে অনশনে বসতে এসেছিলাম যাতে আমরা আমাদের বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনের সিদ্ধান্ত জানতে পারি। কিন্তু আমাদের সেই যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বাঁধা দেয়।
তিনি আরো বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকার স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে কাজের অগ্রগতি না দেখে আমরা আবার সমন্বয়ক স্যারের কাছে গেলে তিনি আমাদের ঢাবির কাছে দাবি উত্থাপন করতে বলেন এবং তিনি বলেন তার কোনো কাজ নেই এখানে, যা ছিলো তা করেছি। পরে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে গেলে তিনি আমাদের ঢুকতে না দিয়ে বলেছেন যে তোমাদের প্রিন্সিপালদের আসতে বলো। তাই আমরা কোথাও কোনো সাড়া না পেয়ে এই অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভুক্তভোগী শিমুল আরো বলেন, অনশন করতে চাইলে পুলিশ আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা এখন আপাতত আমাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছি। আমরা পরবর্তী কর্মসূচি শিগগির ঘোষণা করবো।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com