ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শুধুমাত্র ১তালিকা গেজেটধারী ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি এস এম কায়ছার রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেন। ৪ ফেব্রুয়ারী ১১টায় আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তায় এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আলিম সুজা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান,যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার সর্দার হাবিবুর রহমান । মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০৫ সালে ২৩ নভেম্বর সরকারি ভাবে গেজেট তালিকায় আমাদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০৫ সাল হইতে অদ্যবধি আমরা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা সহ অন্যান্য সুবিধা ভোগ করে আসিতেছি। ২০১৭ সলে ৭সদস্য বিশিষ্ট যাচাই বাছাই কমিটির বছাইয়ে অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ক’ তালিকা ভুক্ত করিয়া ভাতা ভোগ করিয়া আশিতেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যাচাই বাছাইয়ের নামে হয়রানি ও নির্যাতনের হচ্ছি। ইতিমধ্যে অনেক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরন করেছেন। যারা বেচে আছেন তারাও রোগে শোকে মুহ্যমান। গত ৩ ফেব্রুয়ারী আলফাডাঙ্গা উপজেলার শুধুমাত্র ১তালিকা গেজেটধারী ভাতাভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি এস এম কায়ছার রহমান ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যারা তার সাথে গোপনে যোগাযোগ করেছেন কেবলমাত্র তাদেরকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১০৬ জন মুক্তিযুদ্ধার মধ্যে মাত্র ১১জন মুক্তিযুদ্ধাকে তালিকা ভুক্ত করেছেন। ইহার মধ্যে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযুদ্ধা বীর বিক্রম এম এম মান্নান যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার সর্দার হাবিবুর রহমানের নাম ও যাচাই-বাছাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যাহা মুক্তিযুদ্ধের জন্য অপমান ও অসম্মান জনক। শেষ বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাইয়ের নামে এধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের হাত হইতে পরিত্রানের জন্য যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতিই দায়ী। তিনি অন্য সদস্যদের উপর প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম দূর্নীতির মাধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করে ১/২/২০২১ তারখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নোটিশ টানিয়ে দেন। আমরা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা এ ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতিযুক্ত যাচাই বাছাই বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ এলহীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।