সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ ও সীতাকুণ্ডের পর্যটন সম্ভাবনা, সমস্যা তুলে ধরে সীতাকুণ্ডের গণমানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে সীতাকুণ্ড থেকে প্রকাশিত একমাত্র পত্রিকা সাপ্তাহিক সীতাকুণ্ড। গত পাঁচ বছরে সীতাকুণ্ডের উন্নয়নে পত্রিকাটির ভূমিকাও রয়েছে। একইসাথে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম প্রকাশ করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে পত্রিকাটি। বর্তমানে পত্রিকাটি সীতাকুণ্ডের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক সীতাকুণ্ড প্রকাশিত ইংরেজী বর্ষের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সীতাকুণ্ডের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। সভায় পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আশির দশকের গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক দেবাশিস ভট্টাচার্য। প্রধান প্রতিবেদক এম কে মনিরের সঞ্চালনায় এতে আলোচক ছিলেন পত্রিকাটির উপদেষ্টা, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক ও সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি, পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক সুলাইমান মেহেদী হাসান, সীতাকু- পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড পৌরসদর ব্যবসায়ী দোকান মালিক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সমিতির নবনির্বাচিত সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুল আলম, প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন এর সভাপতি জিল্লুর রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সোহেল, মানবতা ফাউন্ডেশন এর সভাপতি রনি খান, আলো ‘র সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাদেক, সুপ্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফারহান সিদ্দিক নাঈম, সীতাকুণ্ড কার মাইক্রো চালক সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি বাবলু। এসময় বক্তারা বলেন, সীতাকুণ্ডে আমরা সবসময় একটি স্থানীয় পত্রিকার প্রয়োজন অনুভব করি। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘটনা, জনদূর্ভোগের চিত্র তুলে ধরতে স্থানীয় পত্রিকার বিকল্প নেই। তারই আলোকে সাপ্তাহিক সীতাকুণ্ড তার দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে চলছে। এসময় সম্পাদক ও প্রকাশক সুলাইমান মেহেদী হাসান বলেন, আমরা সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে মানুষকে জানানোর চেষ্টা করছি। সামাজিক সংগঠনগুলোর জন্য আমাদের রয়েছে আলাদা সংগঠন পাতা যাতে তারা উৎসাহ পায়। এছাড়াও পর্যটন ও শিক্ষা বিষয়ে পাতা রয়েছে সাপ্তাহিক সীতাকুণ্ডে। আরো রয়েছে সমৃদ্ধ সাহিত্য পাতা। যেখানে সীতাকুণ্ডের প্রতিভাবান যেকেউ লেখার সুযোগ রয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর আমরা দৃষ্টিনন্দন ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে থাকি এবং তা সীতাকুণ্ডের সকল দপ্তরে ও মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছরের ক্যালেন্ডারে আমরা সীতাকুণ্ডের অনিন্দ্য সুন্দর গুলিয়াখালীকে ফুটিয়ে তুলেছি। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে পত্রিকাটির সাহিত্য সম্পাদক কবি বাসু দেব নাথ’র জন্মদিন কেক কেটে উদযাপন করা হয়।