বিএনপি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড, মজিবর রহমান সরোয়ার বলেছেন, আওয়ামীলীগ নিজেরাই শেখ মজিবুর রহমানকে দলীয় করন করে বিভক্ত করে রেখেছে আমরা তাকে একজন মুক্তিযুদ্ধের নেতা মনে করি। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের কোন নেতা রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। আজ বর্তমান শেখ হাসিনার নিজেই শেখ মজিবুর রহমানের হত্যাকরীদের সাথে নিয়ে অবৈধভাবে দেশ শাষন করছেন। সেদিন মোস্তাকের মন্ত্রী পরিষদ সহ ট্যাংকের উপর দেখা গেছে তারা এখন আপন হয়ে গেছে। অন্যদিনে এদেশে স্বাধীনতার ঘোষনা সহ সরাসরি রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে সেই বীর উত্তম শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করার খেলায় সরকার মেতে উঠেছে। কারা আজ জামুকা চালায় তারা কারা তাদের কি ক্ষমতা আছে জিয়াউর রহমানের খেতাবের উপর হাত দেয়। সরকার আল জাজিরার সংবাদ দেশের মানুষের কাছ থেকে দৃষ্টি ফেরাতে এখন এই অপচেষ্টা করছেন। শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনার কথা বলেন কিন্তুু তাদের মূল্যবোদের কথা বুজতে চায় না। তিনি আরো বলেন, মুক্তযুদ্ধকালীন শেখ হাসিনার পরিবার পাকিস্তানীদের খাবার খেয়েছেন। জিয়াউর রহমানের পরিবার খায়নি। শনিবার নগরীর সদররোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যলয়ের সামনে মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতিত্বের বক্তব্যতে তিনি একথা বলেন। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম’র খেতাব কেড়ে নেয়ার রাস্ট্রীয় অপচেষ্টার প্রতিবাদের সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সিকদার জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আকবর হোসেন পাঠান, যুগ্ম সহ-সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন, মহানগর বিএনপি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, মহানগর মহিলা দল নেত্রী তাছলিমা কালাম পলি, মহানগর শ্রমীকদল সাধারন সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ খান,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি মাহবুবুর রহমান পিন্টু, মহানগর যুবদল সভাপতি এ্যাড.আখতারুজ্জামান শামীম। এসময় সরোয়ার আরো বলেন, আমরা দেশে হরতার করব না বলে কারো লিখে দেইনি। শহীদ রাস্ট্রপতির খেতাব নিয়ে কোন রকম ষড়যন্ত্র করা হলে হরতালের মাধ্যমে দেশ অচল করে দেয়া হবে। প্রতিবাদ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. আলি হায়দার সহ বিভিন্ন দলীয় অঙ্গ সংগঠনের যুবদল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চলনা করেন মহানগর যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন।