চকরিয়ার ডুলাহাজারা মারুফিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মানাধীন চার তলা ভবনের ফাউন্ডেশনেই গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এ ভবন আরো একটি রানা প্লাজা ট্রাজেডির জন্ম দিতে পারে। সরেজমিনে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা মারুফিয়া মাদ্রাসার সামনেই বালিমাটির উপর চার তলা ভবনের সিসি ৩” ইঞ্চি ঢালাইয়ের কাজ চলছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক কাজ পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান তৌহিদ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক আহমদ কবির চৌধুরীর পক্ষে ম্যানেজার মাইনুদ্দিন হাসান নির্মান কাজে ঢালাই প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর দেখা মিলে নি। নির্মানাধীন ভবনের শুরুতেই স্থানীয় বালু ও দেশীয় ইটের কোয়া দিয়ে সিডিউল বহির্ভুত কাজ করছ ন। ঝুঁকির সম্ভাবনা নিয়ে শতভাগ বালি মাটির উপরে কোন ফাইলিং ছাড়াই ৮ ফুট গভীর থেকে ভবনটির বেস ঢালাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। শ্রমিকরা অতিরিক্ত বালিমাটির কারনে গর্তের পাড় ভেঙ্গে পড়ার অজুহাতে চলছে মাত্র ৩” ইঞ্চি সিসি ঢালাই দিয়ে ১২ ফিটের বদলে ৮ফিট গভীর থেকে আরসিসি বেস ঢালাইয়ের প্রক্রিয়া। চার তলার একটি ভবন নির্মানে যা অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ বলছেন অভিজ্ঞ মহল। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল আহসান মোবাইল ফোনে জানান, ভবনটি ঢাকা থেকে পাঠানো স্টিমিটের সিডিউল মোতাবেক করা হচ্ছে। বেসের নীচে ৩ফিট বালি ফিডিং করা হয়েছে। তার উপর ৩” ইঞ্চি সিসি এবং এর উপর ১২ ইঞ্চি আরসিসি বেস দেয়া হচ্ছে। তবে কাজের মুল্য কত তিনি জানেন না বলে মোবাইল কেটে দেন। অভিজ্ঞদের মতে,বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কাছে সাভারে রানা প্লাজা ধ্বসের মত আরো একটি ঘটনার জন্ম দিতে পারে এ ভবন। প্রসংগতঃ রানা প্লাজা ধ্বসে তৎকালে ৩ হাজার শ্রমিকের মধ্যে ১৭৫ জন নিহত ও দুই হাজার শ্রমিক আহত হয়েছিল। রানা প্লাজা ধসের কারণ হিসাবে বিজিএমইএ বলেছিলেন, নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ, নিচু মানের সামগ্রী ব্যবহারই প্রধান কারণ। এছাড়াও ভবনের নিন্মমানের পিলার আর ধারণ ক্ষমতার বেশি কর্মী থাকা- ভবন ধ্বসের প্রধান কারন হিসাবে সনাক্ত করেছিল তৎকালিন বিজিএমইএ। বর্তমানে মাদ্রাসা ভবনটি আরো একটি রানা প্লাজা ট্রাজেডির জন্ম দিতে পারে। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে