বরগুনার তালতলীতে মুক্তিযোদ্ধা হতে না পেরে ক্ষোভে তালতলী উপজেলা ও বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে ফেইসবুকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড। সোমবার বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তারা। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, উপজেলার আগাঠাকুরপাড়া এলাকার উসিট মং নামের রাখাইন ২০১৭ইং সালে ৪৬৫নং বেসামরিক গেজেটে জামুকার যাছাই-বাছাই কমিটিতে তিনি প্রয়োজনীয় স্বাক্ষী প্রমান দিতে না পারায় তাহাকে ৪১নং স্মারকে মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে সংশ্লষ্ট কমিটি কর্তৃক সুপারিশ পাঠানো হয়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারী উপজেলা যাছাই-বাছাই কমিটিতে তাহার জবান বন্দি ও স্বাক্ষীদের তথ্য মতে উসিট মং প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে প্রতিয়মান হয়। এ আক্রোশে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোসলেম আলী হাওলাদার ও তার মৃত বাবাকে সহ জেলা কমান্ডারকে জড়িয়ে একতরফা, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ভিডিও’র মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড উসিট মং এর এহেন মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার মোসলেম আলী হাওলাদার বলেন, উসিট মং উপজেলা যাছাই-বাছাই বোর্ডে ততকালিন মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং দেয়ার কথা বলেছেন কিন্তু সেখানে স্কুল ও অ¯্রাগার কোন ভিটিতে ছিল এবং যুদ্ধকালিন সময় কে কে ট্রেনিং এর প্রশিক্ষক ছিলেন তা বলতে পারেনি। এবং উসিট মং এর মানিত স্বাক্ষীরা তার পক্ষে স্বাক্ষী দেয়নি। এতে প্রতিয়মান হয় যে সে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে উসিট মং রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলায় প্রায় বছরখানেক জেলহাজতে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছত্তার ফরাজী, কেশবলাল শীল, হরিপদ হাওলাদার, আঃ ছত্তার মাস্টার ও আবু তাহেরসহ ১৫জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।