মধ্যরাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত অভিহিত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস ও আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বহন করা হবে বলে জানান বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন। গতকাল বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলোচনায় এসব কথা তিনি জানান। এছাড়া বেলা সাড়ে ১২টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আলোচনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা করার দাবি জানানো হয়। আলোচনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাদের গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান করেন।
অন্যদিকে উপাচার্যের সাথে আলোচনা শেষ করেই পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। তারা দাবি আদায় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মিছিল, টায়ার পোড়ানোসহ সকল সহিংস কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়। এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাহমুদ হাসান তমাল বলেন, আমরা কোনোভাবেই আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কার্যক্রম থেকে সরে আসবো না।
আমরা প্রাণ শংকায় আছি। আন্দোলন বন্ধ করে দিলে ওরা আবারো রাতের আঁধারে হামলা চালাবে। এদিকে দীর্ঘক্ষণ ধরে বরিশাল-পটুয়াখলী মহাসড়ক অবরোধ থাকায় আটকে আছে পাঁচ শতাধিক গাড়ি। যার ফলে ভোগান্তিতে হাজার হাজার মানুষ। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মৎস, কৃষি ও পর্যটনখাতের। তবে এ্যাম্বুলেন্স, ১ দিনের মুরগির বাচ্চা সহ সকল ধরনের জরুরি পরিবহন ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।