রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৩ অপরাহ্ন

হারিয়ে যাচ্ছে বেতাগীর গ্রামীণ সংস্কৃতি

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতি । সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বৈচিত্র্যময় আড্ডায় জমে মানব সেবায় নিবেদিত সামাজিক সংগঠন ধ্রুবতারার উদীয়মান তরুণরা। খেজুর গাছের রস ও এর তৈরি পিঠা পায়েশ এখানকার খাদ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য বিষয় হলেও অপরিকল্পিত উন্নয়নের জোয়ারে নির্বিচারে খেজুর গাছ নিধনের কারণে এ সময়টায় খেজুর গাছ সংরক্ষন, রোপনে গুরুতারোপ এবং পুরনো গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেজুর রসের পায়েশ (সিন্নী) খাওয়ার উৎসবে মেতে ওঠে তারা। ক্ষণটা বুধবারের এ উদ্যোগ যেন সময়কে উপভোগ ও জমিয়ে তোলে। এ উৎসবের গল্প এখানেই শেষ নয়। ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি বিণোদনের লক্ষ্য হয়ে ওঠে। দেখতে ধূম পরে যায় বিভিন্ন বয়েসী মানুষের। জানা গেছে, বেতাগী সদর ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে উপজেলা ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আয়োজনে উৎসাহ জোগাতে উৎসবে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন, বেতাগী প্রেসক্লাবের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম মন্টু, ইতালী বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রবাসী এমডি রিয়াজ হোসেন। এ সময় ধ্রুবতারা ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অলি আহমেদ, বরগুনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিঠুন দে, উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন বাপ্পী, ন্যাশনাল চিল্ডেন ট্রাষ্ট ফোর্স (এনসিটিএফ) উপজেলা সভাপতি তানজিলা জামান শিফা, সাধারণ সম্পাদক মো: খাইরুল ইসলাম মুন্না সহ অন্যান্যরাও অংশ নেন। এ সময় অংশ গ্রহণকারীরা তরুণরা তাদের মতামত ব্যক্ত করে বলেন, খেজুরের রস ও খেজুর গাছ আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। অর্থনৈতিকক্ষেত্রেও প্রচুর সম্ভাবনার দ্ধার। প্রাকৃতিক দুর্য়োগেও ব্যাপক অবদান রাখছে খেজুর গাছ। আমাদের সমৃদ্ধ খাদ্য সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে খেজুর গাছ সংরক্ষন ও রোপনের প্রতি প্রচুর পরিমাণে গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে খেজুর গাছ কেটে ইটের ভাটা তৈরি আবার সেই ইটের ভাটায় জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহারের জন্য অবাধে খেজুর গাছ কর্ত্তণ না হয়। কারণ খেজুর গাছ থেকে রস, রস থেকে পিঠা-পায়েশ ও গুড় তৈরি হয়। হয় এখানটায় মানুষের কর্মসংস্থনের সূযোগ। তাই একে আর হারানো যাবেনা, হারানো যাবেনা খেজুর গাছ কাটা গাছিদেরও। যারা খেজুর গাছ কাটেন তারা গাছি নন। সমাজের দৃষ্টিতে তারা শিল্পী। তারা একেক জন জয়নুল কিংবা এস.এম. সুলতান। তাদের ধারালো দায়ে রয়েছে শিল্পের ছোঁয়া।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com