বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ ছাত্রের উপর গভীর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা রুটের দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহি বাস সহ সকল ধরনের পন্যবাহি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকালে অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা একটি যাত্রিবাহি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং ্আরো ৩টি যাত্রীবাহি বাস ভাঙচুর করেছে। তবে শংকা মুক্ত রয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীরা। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী ইউনিট-৪ এর সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামিউল ইসলাম বলেন, তার ইউনিটে এ পর্যন্ত ১৩ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের মাথায় জখম আছে। তবে গুরুত্বর নয়। সকলের শংকা মুক্ত আছে। এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক আবারো অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে বরিশাল-পটুয়াখালী-বরগুনা রুটের দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহি বাস সহ সকল ধরনের পন্যবাহি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা কয়াকাটা এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রিবাহি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং অপর ৩টি যাত্রীবাহি বাস ভাঙচুর করে। হামলার ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, যারা এ হামলা চালিয়ে তারা সকলেই অজ্ঞাতনামা। তাদের খুজে বেড় করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী আদায়ে অটুট রয়েছে। তাই প্রশাসন বিশ^বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে তিনি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আহত সকল শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করেন। এছড়া এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ে জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার গভীর রাতে বরিশাল নগরীর রুপাতলী হাউজিং-এ ২৩নং রোডের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে গভীর রাতে পরিবহন শ্রমিকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ হামলায় চালানোর অভিযোগ উঠেছে রুপাতলীর স্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় আহতরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চি?কিৎসাধীন আছেন। এর আগে মঙ্গলবার নগরীর রূপাতলী এলাকায় বিআরটিসি বাস কাউন্টারের স্টাফ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিতর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুর দেড়টা থেকে প্রায় দুঘন্টা সেখানকার বাস টার্মিনালে অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে রফিক নামের অভিযুক্ত স্টাফকে পুলিশ গ্রেফতার করলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।